শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে প্রস্রাব পরীক্ষা করা জরুরি

কিডনি রোগ দিবসের সভায় বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন  | বুধবার , ৬ মার্চ, ২০২৪ at ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

শিশুদের প্রস্রাবে ইনফেকশনের কারণে নীরবে ধীরে ধীরে কিডনি অকেজো হয়ে যায়। মেয়ে শিশুর ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এজন্য শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে প্রস্রাব পরীক্ষা করা জরুরি। জন্মগত এই ত্রুটি দ্রুত নির্ণয় ও চিকিৎসা শুরু করা গেলে শিশু কিডনি রোগ অনেকটা রোধ করা সম্ভব।

বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগ আয়োজিত ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে শিশু কিডনি বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরের রৌফাবাদে ছোটমনি নিবাস ও সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) আবাসিক শিশুদের ‘প্রস্রাব ইনফেকশন স্কিনিং প্রোগ্রামের’ আয়োজন করে চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগ। বিভাগের চিকিৎসকরা ছোটমনি নিবাসের শতাধিক কন্যাশিশুর তাৎক্ষণিক প্রস্রাব পরীক্ষা করেন। প্রাথমিকভাবে ইনফেকশন ধরা পড়া শিশুদের (পজিটিভ) নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। এ সময় শিশুদের হাতে উপহার হিসেবে শিক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া উন্নতমানের খাবার আয়োজনে আর্থিক সহায়তাও প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু কিডনি রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মারুফউলকাদের বলেন, জন্মগত ত্রুটি হিসেবে শিশুদের প্রস্রাব ইনফেকশন হয়। সঠিক সময়ে পরীক্ষানিরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা শুরু করা না হলে নীরবে শিশুদের কিডনি ধীরে ধীরে অকেজো হয়ে পড়ে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চমেক হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুষ্মিতা বিশ্বাস, চট্টগ্রাম ছোটমনি নিবাসের উপতত্ত্বাবধায়ক তানজিনা আফরিন, সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) উপতত্ত্বাবধায়ক তাসনিম আকতার, চমেক শিশু কিডনি বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. মুরাদ চৌধুরী, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. শাম্মী আকতার, মেডিকেল অফিসার ডা. সৌরভ দেব বাপ্পী, শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. সুপ্তা দাশ, ডা. মো. সাজ্জাত হোসাইন, ডা. মো. তৌহিদুল ইসলাম, ডা. নুসরাত আজমির আকতার ও ডা. অমিত দাশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ‘সমাজে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানব মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাব’
পরবর্তী নিবন্ধশিক্ষার্থীদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করতে সরকার বদ্ধপরিকর