শহীদদের প্রতি ফোঁটা রক্তের সমন্বয়ে সংবিধান প্রণীত

চবিতে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

চবি প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৫ মার্চ, ২০২২ at ৮:০৫ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আপীল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, শহীদদের প্রতি ফোঁটা রক্তের সমন্বয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের পরপরই সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। তবে আমরা সংবিধান তৈরির প্রতিটি প্রক্রিয়া, প্রসিডিউর এবং আর্কাইভ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে পারিনি। প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের সংবিধান এবং বিচারব্যবস্থা উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ভারতে সংবিধান দিবস পালন করা হয়। তারা আম্বেদকার সাহেবের জন্মদিনে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংবিধানের ওপর একঘণ্টা ক্লাস নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের অনেক উচ্চপর্যায়ের মানুষেরও সাংবিধানিক জ্ঞানের অভাব রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদ এবং এ কে খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান: সংশোধন ও বিকাশ’ শীর্ষক চতুর্থ এ কে খান স্মারক আইন বক্তৃতা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা বারোটায় চবি আইন অনুষদ মিলনায়তনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। বিচারপতি ওয়ায়দুল হাসান বলেন, সর্বমোট ১৭টি সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে যুগোপযোগী করার চেষ্টা চলেছে। তবে সব সংশোধনী ভালো উদ্দেশ্যে করা হয়নি। নিজেদের সুবিধার্থে জেনারেল জিয়া এবং এরশাদ আমলে নিজেদের শাসনকে বৈধ করার জন্য সংশোধনী আনা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে এবং এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি সেক্রেটারী সালাহউদ্দিন কাসেম খান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান এবং ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখেন আইন বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. সাজেদা আক্তার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে খান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ আবদুল মজিদ এবং এ কে খান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এ এম জিয়াউদ্দিন খান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাসের ধাক্কায় একজন নিহত, আহত মোট ১১
পরবর্তী নিবন্ধসুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় গড়ে ওঠে সুন্দর সমাজ