সমস্যা সমাধানে কল সেন্টার চাহিদা বেড়েছে, আগ্রহ কমেছে তরুণদের

ওরা ও শ্রমীক

| বুধবার , ১ মে, ২০২৪ at ১:২১ অপরাহ্ণ

গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধানে দিন দিন বাড়ছে কল সেন্টারের চাহিদা। আর এতে প্রাধান্যের যায়গায় তরুণদের। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কল সেন্টার সেবাকেন্দ্র গড়ে উঠেছে দেশে।

একুশ শতকে বাংলাদেশে শুরু হয় এ সেবা। গ্রাহকদের মাঝে সহজে সেবা পৌঁছে দিতে মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর হাত ধরে দেশে শুরু হয় কল সেন্টারের সেবা।

একটি কল সেন্টার এমএফএস কোম্পানি, ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালসহ, সরকারি নানাবিধ সেবা দিয়ে থাকে। চব্বিশ ঘন্টা নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা পায় গ্রাহকরা। মূলত এখানে যারা কাজ করেন তাদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী, সুবিধামত একটি নির্দিষ্ট সময়ে কাজ করা যায় বলে তাদের আগ্রহ বেশি।

চট্টগ্রামের জেনেক্স কল সেন্টারের কয়েকজন কর্মী বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি এ কাজ করতে পারি, সেজন্য আমাদের অনেক সুবিধা হয়েছে। এতে আমাদের কমিউনিকেশন দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হচ্ছে। অনেকে রেগে কথা বলেন, অনেক ধৈর্য্য নিয়ে কথা বলতে হয় তাদের সাথে। তাদের সমস্যা খুঁজে বের করে তার সমস্যা সমাধান করতে হয়।

কর্মীদের দিনে ৮ ঘন্টা কাজ করতে হয়। শুরুটা হয় ১০ থেকে ১১ হাজার টাকায়। দিনের তিন শিফটেই কাজ করার সুযোগ আছে তাদের।

কর্তৃপক্ষ বলছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন কলের মাধ্যমে সেবা নিতে চায়। সে তুলনায় দক্ষ কর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিনিয়তই তাদের নতুন কর্মীর উপর ভরসা করতে হয়।তাই নিজেদেরই প্রশিক্ষণের আয়োজন করতে হচ্ছে।

জেনেক্স ইনফোসিসের সিইও ও অ্যাকটিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ্জালাল উদ্দিন বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি যারা নিজের ক্যারিয়ার গঠন করতে চায় তারা আমাদের এখানে আসলে প্রশিক্ষণ দেই। এরমধ্যে কম্পিউটার স্কিল বাড়ানো, সুন্দরভাবে কথা বলা প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য।

অন্যদেশের তুলনায় বাংলাদেশে কল সেন্টারের পরিসর বাড়লেও দুর্বল যোগাযোগ দক্ষতার কারণে দিন দিন কমছে এ সেবার বিস্তার। সঙ্গে বেতনকাঠামো ও বিনিয়োগ কম থাকায় এ খাতটি অগ্রসর হচ্ছে কম।

কিন্তু এক সময়ের অন্যতম আকর্ষণীয় এই পেশা কল সেন্টারে কেন লোকবল পাওয়া যাচ্ছে না? কেন জৌলুস হারাচ্ছে এ খাতটি?

কল সেন্টারের সাবেক কর্মী বলেন, ২০১৯ থেকে এর অগ্রগতি কম দেখে ছেড়ে দিয়েছি। কল সেন্টার সিস্টেম এখনও সরাসরি টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানিগুলো থেকে চালানো হয় না। এখন আগের মতো সুবিধাও নেই।

কল সেন্টারের পরিবর্তে এখন প্রতিষ্ঠানগুলো কন্ট্রাক্ট সেন্টার নামেই বেশি পরিচিত। দেশে এমন প্রতিষ্ঠান প্রায় আড়াই শত’। তারমধ্যে হাতেগোনা কিছু প্রতিষ্ঠান ছাড়া উন্নত সেবা দিতে পারে না অধিকাংশরা।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনট্যাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংর (বাক্কোর) সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, সিমাবদ্ধতা স্বীকার করে জানান, আগামী দিনে এর পরিসর বাড়াতে কাজ করছেন তারা।

শুধু দেশি প্রতিষ্ঠানই নয়, বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে বড় অংক ডলার আয় করা সম্ভব। দক্ষতা বাড়ানো গেলে এ খাতে বাংলাদেশের আধিপত্য বাড়ানোর সুযোগ আছে বলে মত প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত
পরবর্তী নিবন্ধহাতির আক্রমণে এক যুবকের মৃত্যু