শহরের ময়লা আর্বজনা আমাদের করণীয়

শরণংকর বড়ুয়া | বৃহস্পতিবার , ৪ আগস্ট, ২০২২ at ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ

গ্রাম ছেড়ে এবং জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন কারণে মানুষ শহরে চলে আসছে। দিনে দিনে শহরে মানুষ বাড়ছে। বেড়ে চলেছে আকাশ চুমকি হাইরাজ বিল্ডিং। কাজ চলাকালীন মানুষ বিল্ডিং-এ উঠে পড়ছে। বিক্রিও হচ্ছে মালিকের ইচ্ছে মত। মানুষের চাপ বাড়ার সাথে সাথে খাদ্য দ্রব্যের যোগান বেড়ে চলেছে। ফলে তৈরি হচ্ছে হাজার হাজার টন ময়লা আবর্জনা। কিছু কিছু বিল্ডিং-এ আবর্জনা ফেলানো লোক রাখলেও অনেক বিল্ডিং-এ তা নেই। তাই যে যেখানে পারছে ময়লা ফেলছে রাস্তায় নালায়। দুর্গন্ধে পথ চলা মুশকিল হয়ে যায়।

যদি কোথাও সাইন বোর্ড দেওয়া হয়-এই জায়গায় ময়লা ফেলবেন না, প্রশ্রাব করবেন না, গাড়ি পার্কিং করবেন না। আশ্চর্যের বিষয় সেখানেই ঐ সব আরো বেশি বেশি করা হয়। রাস্তায় ফেলা ময়লা সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বরত কর্মচারী গাড়িগুলো পরিষ্কার করলেও তা পর্যাপ্ত নয়। তারা দায়িত্ব বোধের ব্যাপারে সচেতন নয়। বিদেশে আমি দেখেছি সকাল ৬টার পর কোনও ময়লার গাড়ি রাস্তায় দেখা যায় না। আমাদের এখানে যথা স্থানে ময়লা না ফেলে বরং বিল্ডিং থেকে নালায় ফেলে দেয়। যখন বৃষ্টি আসে পানি রাস্তায় উঠে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কিছু লোক সঠিকটা যাচাই না করে সাথে সাথে সরকারকে, সিটি কর্পোরেশনকে ইচ্ছে মত গালি দেওয়া শুরু করে। এটা আমাদের নৈমিত্তিক স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানে দোষটা কার? নালায় হাজার হাজার টন আর্বজনা গুলো কর্ণফুলীতে গিয়ে পড়ছে এবং নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। এতে নদীর জন্য, মাছের জন্য, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক হয়ে চরমে পৌঁছে গেছে।

চাক্তাই খালের মুখে তার আশ পাশ ভরাট হয়ে চর জেগে উঠেছে। বৃষ্টি হলে নালায় ফেলা ময়লার কারণে শহরের পানি স্বভাবিক ভাবে চলাচল করতে পারে না। বিধায় আটকে যায় ফলে সড়কে পানি উঠে পড়ে। পানির মধ্যে মানুষ চলাচল করতে গিয়ে এই পর্যন্ত বেশ কয়েক জন নালায় পড়ে মারাও গেছেন। আমরা সচেতন হলে এই সব দেখতে হতো না। আমাদের আরো একটা বদঅভ্যাস আছে যেখানে সেখানে থুথু, পানের পিক, ময়লা ফেলা থেকে বিরত থাকতে হবে। এর জন্য প্রত্যেকের সচেতন থাকা প্রয়োজন। অন্তত নিজেরা সুস্থ থাকার জন্য। প্রজন্মকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য। সকলের প্রতি বিনীত অনুরোধ সচেতন হোন। নিজের পথ চলাকে এবং পরিবেশ সুন্দর রাখুন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহান্স ক্রিশ্চিয়ান এন্ডারসন : শিশুসাহিত্যিক, রূপকথার জাদুকর
পরবর্তী নিবন্ধপিতার কাঁধে সন্তানের লাশ যেন দুর্বহ বোঝা