রাউজান ও রাঙ্গুনিয়া থানায় পুলিশের সেবায় পরিবর্তন এসেছে। দুই থানার সেবাদান কর্মকাণ্ড তদারকির দায়িত্বে থাকা সহকারী পুলিশ সুপার(রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন আসার পর থেকে পুলিশের সেবায় এই পরিবর্তন এসেছে বলে সাধারণ মানুষ জানিয়েছে।
রাউজান থানার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, গত প্রায় তিন মাস আগে রাউজান থানায় দায়িত্বে থাকা ওসি’র বদলির সাথে সাথে এই থানার সব পুরানো অফিসারদের অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। এসেছেন নতুন কর্মকর্তা। একই সাথে ফাঁড়িতেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। ইতিপূর্বে ফাঁড়ি পুলিশের যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের মধ্যে কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে ছিল নানা অভিযোগ। তাদের মধ্যে চিহ্নিত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।
সূত্র মতে, চুয়েট ফাঁড়িতে দায়িত্ব পালনকারী মিটু কুমার নামের এক কনস্টেবল মাদক মামলায় গ্রেফতার হয়েছে।
নোয়াপাড়া ফাঁড়ি থেকে আরমান নামের এক কনস্টেবলকে প্রত্যাহর করে নেয়ার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিভাগীয় তদন্ত চলছে।
স্থানীয় জনসাধারণের মধ্যে যারা গত এক দেড় মাসে থানা পুলিশের সেবা নিয়েছেন এমন ব্যক্তিরা জানিয়েছেন রাউজান থানায় এখন মামলা ও জিডি করার ক্ষেত্রে ভোগান্তি কমেছে।
উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা জানিয়েছেন আগে রাস্তায় গাড়ি আটকিয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ডিউটির নামে চালকদের কাছ থেকে যে টোকেন বিক্রি করত তাও বন্ধ হয়ে গেছে।
ফৌজদারি অপরাধের মতো ঘটনা নিয়ে আগে থানা পুলিশের সাহায্য পেতে যারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন এমন সাধারণ মানুষের অভিযোগ ছিল রাউজান থানায় জিডি ও মামলা করতে ও পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট পেতে নিদিষ্ট অংকের টাকা দিতে হতো। থানায় কোনো অভিযোগ নিয়ে গেলে অভিযোগপত্র লিখতে হতো পুলিশের দেয়া নির্দেশনা মতো। এখন এই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
স্থানীয় জনসাধারণ বলেছেন, ইতিপূর্বে থানা পুলিশের কতিপয় সদস্যের বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে গেছে।
থানা পুলিশে রদবদল ও সেবায় পরিবর্তন আনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাঙ্গুনিয়া-রাউজান থানার দায়িত্বে নিয়োজিত সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, “থানা পুলিশের রদবদল রুটিন কাজ। বিভাগের তদন্তে কেউ অপরাধী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়।”
তিনি জানান, থানা পুলিশের সেবাদান পদ্ধতির কিছু পরিবর্তন আনা হচ্ছে। থানায় জিডি ও অভিযোগপত্র লিখতে এখন থেকে পাওয়া যাবে বিনামূল্যে এ সংক্রান্ত ফরম। এসব ফরম আমার নিজের টাকায় করে দিচ্ছি।
তিনি আরও জানান, পুলিশের সেবা মানুষের জন্য সহজলভ্য করা হচ্ছে। এই সেবা এখন বিট পুলিশিং-এর মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তার দাবি পুরানো ধ্যানধারণা থেকে বেরিয়ে এসে পুলিশ এখন প্রকৃত সেবক হতে চায়।