যেতে হবে সীমান্তে, কিন্তু কীভাবে

পেরিয়েছে ৫০ হাজার মানুষ

| শনিবার , ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ

যুদ্ধের ময়দান ইউক্রেনে বাস আর বিমান চলাচল বন্ধ, রেল চালু থাকলেও সূচির কোনো বালাই নেই। চড়া ভাড়ায় ট্যাক্সি মেলে, তবে রাশিয়ার হামলার মধ্যে সেই পথও অনিশ্চিত। কিন্তু নিরাপত্তা চাইলে সীমান্তের কাছে যে পৌঁছাতেই হবে! এদিকে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা।
রুশ বাহিনী আগ্রাসন শুরুর পরদিনই পৌঁছে গেছে রাজধানী কিয়েভের উপকণ্ঠে। অন্যদিকে নিরপাদ আশ্রয়ের আশায় দলে দলে ইউক্রেন ছাড়ছে মানুষ, ছুটছে সীমান্তের দিকে, তাদের মধ্যে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরাও, যাদের অনেকেই শিক্ষার্থী। পূর্বে রাশিয়া, উত্তরে বেলারুশ আর দক্ষিণে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে আক্রমণ শুরু হয়েছিল। ফলে পালানোর সুযোগ আগে কেবল পশ্চিমে। সেদিকে আছে পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া আর মলদোভা।
পশ্চিমের প্রতিবেশীরা বিদেশিদের ভিসা ছাড়াই প্রবেশের সুযোগ দিচ্ছে। কিন্তু প্রবাসী এই বাংলাদেশিদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হল সীমান্তে পৌঁছানো; যেখান থেকে তাদের ফেরানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। রাজধানী কিয়েভের দ্রুজভি নারোডিভ এলাকা থেকে প্রবাসী বাংলাদেশি মাহবুব পারভেজ বলেন, রোড ট্রান্সপোর্টের ভালো একটা ব্যবস্থা নাই। কিছু কিছু জায়গায় রেল চলছে, মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে রেলে চলে যাচ্ছে। কিন্তু এটা খুবই ভয়ানক। তবু মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা করছে সরে যাওয়ার জন্য।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এক টুইটে বলেছেন, ইউক্রেন ছেড়ে অনিশ্চিতের উদ্দেশে পাড়ি জমানো এই মানুষগুলোর বেশিরভাগই সীমান্ত পেরিয়ে গেছেন পোল্যান্ড ও মলদোভায়। আরও অনেকেই সীমান্তের পথে রয়েছেন। শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশগুলোর সরকারকে ‘আন্তরিক ধন্যবাদ’ জানিয়েছেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচারদিকে সাইরেনের শব্দ, আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন
পরবর্তী নিবন্ধবে-ওয়ানে আতংকের ১২ ঘণ্টা