মুখোশধারী চিন্তাবিদ ও নরপশু মুক্ত বাংলাদেশ প্রত্যাশায়

মীনহার সুলতানা নিকা | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে জুলুমের মারাত্মক ছড়াছড়ি। জালিমের অত্যাচারে দুর্বল, অসহায়, পীড়িতরা নির্যাতিত; জনজীবন অতিষ্ঠ। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবানরা দরিদ্র শ্রেণিকে, ক্ষমতাবানরা নিরীহ ও সাধারণ লোকের প্রতি অন্যায় ও হিংসার বশবর্তী হয়ে শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের স্টিমরোলার চালিয়ে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার, ন্যায়বিচার, সমতা, বাক-স্বাধীনতা ইত্যাদি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আত্মসম্মান ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। মুখোশধারী মানুষগুলোর প্রকৃতি চেনা যেমন খুব সহজ তেমনি খুব কঠিনও বটে। এই শ্রেণির মানুষগুলো লোভী হয়। কেউবা স্বল্পমেয়াদে কেউ আবার দীর্ঘমেয়াদে লোভী। মুখোশ এর আড়ালের রূপে অচেনা নগ্নতা যা সচরাচর মুখোশ এর আড়ালেই ঢাকা থাকে, এটিই আমাদের আসল চরিত্র। আসল চরিত্রকে ঢেকে ফেলার প্রবণতা আমাদের জন্মগত বৈশিষ্ট। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে গিরগিটির মত তার বাহিরের রূপ পরিবর্তনের ক্ষমতা না দিলেও মানুষ কৌশলে নিজের আসল চরিত্রকে ঢেকে ফেলতে পারে। ঠিক যেন, মুখোশ দিয়ে নিজের চরিত্রকে আড়াল করা। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব হিসেবে মানুষ দুটি রূপের অধিকারী যথাক্রমে দৈহিক ও মানসিক রূপ। আমরা দিনের বেলায়, জনসন্মুখে অথবা বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের অতি ভালো মানুষ সাজি। মিষ্টি ও নীতিকথায় অন্যদের বাহবা কুড়াই। কিন্তু লোক চক্ষুর আড়ালে বা রাতের অন্ধকারে এ মুখোশ খসে পড়ে এবং চরিত্রের নগ্নতা বেড়িয়ে আসে। বর্তমানে চারপাশে মুখোশধারী বেড়ে গেছে। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান থেকে শুধু করে বেসরকারি বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বড় বড় স্যারদের অত্যাচার, শাসন, শোষণ, মানসিক অত্যাচার, বে-বিচার, ক্ষমতার অপব্যবহার দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাদের এই বে-বিচার, শোষণ মেনে নেওয়া যাবে না। অত্যাচারী যতই মুখোশধারী চিন্তাবিদ হোক সত্যের কাছে মাথা নোয়াতে বাধ্য। অত্যাচারীদের বেশি দূরে যেতে দিতে দেওয়া যাবে না। তাই সব সময় অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে সব সময় সব পরিস্থিতিতে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, শোষণ, অত্যাচারের বিরুদ্ধে চলবে লাগাতার দায়িত্বশীল আন্দোলনের দিশায় উদ্ভাসিত প্রতিবাদ-প্রতিরোধ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মহত্যা প্রবণতাকে ঠেকাতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধচোখ ওঠা, সচেতনতার বিকল্প নেই