আত্মহত্যা প্রবণতাকে ঠেকাতে হবে

সালাম সৌরভ | শনিবার , ১৫ অক্টোবর, ২০২২ at ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ

ইদানীং পত্রপত্রিকায় যে খবরটি প্রতিদিনের সংবাদ হয়ে আমাদের আতঙ্কিত করে তুলছে সেটা হচ্ছে আত্মহত্যা। আত্মহত্যা এখন আমাদের সমাজে একটা ট্রেডিশনাল বা ফ্যাশনাল রোগে পরিণত হয়েছে। দ্রুত আমাদের এই আত্মহত্যা প্রবণতা ঠেকাতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। নয়তো আমাদের সমাজে এই ডিপ্রেশন রোগের আক্রান্ত চারদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এই সামাজিক ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে হবে। কিন্তু এই পথে যে নিজেকে শেষ করে দিয়ে যাচ্ছে সে আসলে দায়বদ্ধতা থেকে নিজেকে কতটুকু মুক্ত করতে পেরেছে? বাবা-মা আত্মীয়-স্বজন কাউকে না কাউকে ঋণের বোঝা চাপিয়ে অথবা সামাজিক দায়বদ্ধ তার জালে জড়িয়ে দিয়েছেন, আত্মহত্যা হচ্ছে মারাত্মক একটা ভুল সিদ্ধান্ত। যারা এই সিদ্ধান্তে ভোগে তারা প্রত্যেকে মানসিক রোগী, সুস্থ চিন্তার মানুষ কখনো আত্মহত্যা করতে পারে না। দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টালে যেমন জীবন পাল্টে যায়, তেমনি এই ডিপ্রেশন রোগীদের দৃষ্টিভঙ্গি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্রের মাধ্যমে পাল্টাতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন দেশের সকল সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ফ্রি চিকিৎসা ও পরামর্শ কেন্দ্র খোলা একান্ত প্রয়োজন। আমাদের সমাজকে এই মেন্টাল ডিপ্রেশন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। হতাশাগ্রস্তদের পাশে আমাদের দাঁড়াতে হবে। তাকে বুঝাতে হবে এই পৃথিবীতে, এই দেশে, এই সমাজ এই পরিবারের তোমার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। তুমি যেমন সমাজকে অনেক কিছু দিতে পারো, তেমনি সামাজও তোমাকে অনেক কিছু দিতে পারে। কি দিতে পেরেছি? আত্মিক টানাপোড়ন থেকে সে নিজেকে রক্ষা করতে পারে দ্বিতীয়ত তার একটা মাথা আছে চোখ মুখ কান সবই আছে একজন অন্ধ যদি জীবন যুদ্ধে থেকে থাকতে পারে আপনি কেন পারবেন না? দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টালে জীবন পাল্টে যেতে পারে। হতাশা, ব্যর্থতা, দারিদ্র্য, একাকীত্ব এগুলো একটা মানুষের জীবনে চিরকাল থাকে না। আপনাকে জয় করতে হবে। সুতরাং আত্মহত্যা নয় আমরা কর্মের মাঝে বেঁচে থাকব আজীবন। নতুন প্রজন্মকে দিয়ে যাব সুন্দর পৃথিবী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআবুল হুসেন : মুক্তচিন্তার পথপ্রদর্শক
পরবর্তী নিবন্ধমুখোশধারী চিন্তাবিদ ও নরপশু মুক্ত বাংলাদেশ প্রত্যাশায়