মিছিল-মিটিংয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা চমেকে

সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৫ মার্চ, ২০২১ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মিছিল-মিটিংসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) প্রশাসন। বুধবার অনুষ্ঠিত কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. শাহেনা আকতার। কলেজ অধ্যক্ষ গতকাল আজাদীকে বলেন- ছাত্রদের মিছিল-মিটিংসহ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে আপাতত (সাময়িক) নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার এখতিয়ার আমাদের (কলেজ কর্তৃপক্ষের) নেই। এটি সম্পূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়।
তিনি বলেন- কলেজ এখন বন্ধ। তবে পরীক্ষা চলছে। এর মধ্যেই সমপ্রতি দুয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। এর প্রেক্ষিতে আপাতত নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় নিয়ে উক্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি :
গত মঙ্গলবার চমেক ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনা ল্যাবের ইনচার্জ ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এহসানুল হক কাজলকে কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুভাষ মজুমদার ও অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. চন্দন কুমার দাশ। কলেজ অধ্যক্ষ কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, সংঘর্ষের পর আরো কয়েক দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজ প্রশাসন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গৃহীত সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে- বর্তমানে যেসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা রয়েছে, কেবল তারাই কলেজ ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবে। আর ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ইন্টার্ন হোস্টেলে চলে যেতে হবে। এসব সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার (গতকাল) চিঠির মাধ্যমে পুলিশ-প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চমেকের প্রধান ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়টি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুই পক্ষের একটি অংশ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের এবং অপর পক্ষ সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এর আগেও এই দুই পক্ষের অনুসারীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে চমেক ক্যাম্পাসে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটেকনাফে ৩ কোটি টাকার ‘আইস’ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধজটের কবলে বন্দর