‘মা’ সুমধুর প্রশান্তির ছোঁয়া

জিএম শহীদ | বুধবার , ২০ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৭ পূর্বাহ্ণ

পৃথিবীতে এক অক্ষরেই মধুমাখা একটি নাম ‘মা’। যে নামের কোনো বিশেষণ হয় না সৃষ্টিকর্তার পরেই যাদের স্থান এরা হলেন মা বাবা। রবের সৃষ্টি জগতে আর কোথাও এমন সুমধুর প্রশান্তির ছোঁয়া পাওয়া যাবে না যা একমাত্র মা নামটিতে বিদ্যমান। পৃথিবীতে মায়েদের কোলে যুগে যুগে জন্ম নিয়েছেন বহু জ্ঞানী গুণী। সমৃদ্ধ করেছেন মনুষ্য জগতকে।

আবার ঠিক তেমনি কখনো কখনো জন্ম নিয়েছেন মানুষরূপী হায়ে না! দুঃখজনক হলেও এটা সত্য যে আজকাল আমাদের দেশের মধ্যে এরকম অমানুষের মেলায় পরিণত হয়েছে। যে মা বাবা পাঁচ ছয়টি সন্তান মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজ শরীরের রক্ত মাংস এক করে বড় করতে পারে, সে সন্তানরা বড় হয়ে কিভাবে মা বাবাদের ভাগ করে ভাইদের সাথে? এমন এমন সন্তানও রয়েছে মা বাবাদের সাথে খারাপ আচরণ করে, গালাগালি করে যদিও বাহির চাকচিক্যে যদিও সাদা পোশাক কভার দ্বারা আচ্ছাদিত মানুষের চোখে।

অথচ তারা জানে না যে আল্লাহ পাক কোরআনে পাকে বলেছেন ‘তোমাদের মায়ের পদতলে রয়েছে পবিত্র জান্নাতের নহর সুখ ও শান্তি। তোমরা মা বাবাদের সাথে ভালো আচরণ করো কেনো না পিতামাতার সনু্তষে আল্লাহ পাক সন্তুষ্ট’। পৃথিবীতে দু পা ওয়ালা, দু হাতল ওয়ালা অহরহ জন্ম নিচ্ছে সদা, কিন্তু মানুষের জন্ম হবে কবে? জীবিত অবস্থায়ই এক গ্লাস পানি দেয় না, কিন্তু মৃত্যুর পরে দু চার পাঁচ গরুর মেজবান দেন। লোকে কী বলবে এতো টাকা তার এটা ভেবে!

বাস্তব প্রেক্ষাপটের গবেষণায় দেখা যায় কখনো কখনো কেউ নিজেকে গ্রামের মানুষের সামনে হাইলাইট করার জন্য মেজবান দেন। আসলে তারা জানে না মা বাবা কতো বড় অমূল্য সম্পদ। মৃত্যুর পরে বড় বড় মেজবান নয় জীবদ্দশায় মা বাবার বড় রোগের চিকিৎসা করানো হোক প্রথম কাজ। কারণ মেজবান প্রতিবছরই দেয়া যাবে কিন্তু মা বাবারা একবার রবের ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলে আর প্রতি বছর আসে না! মা বাবাদের কষ্ট দেয় এমন সন্তানদের সাথে কোনো বন্ধুত্ব সামাজিকতা নেই এদের বিরুদ্ধে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে কঠোর বিচারের আওতায় আনা এখন সকলের সময়ের দাবী। পৃথিবীর সমস্ত মায়েরা ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক উনাদের অম্লান হাসিটি চির অমর হোক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজোয়ারের পানি ও জলাবদ্ধতা
পরবর্তী নিবন্ধসাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ও বিপন্ন মানবতা