ভয়ঙ্কর শীতের অপেক্ষায় ইউক্রেন

রুশ হামলায় বিকল বিদ্যুৎকেন্দ্র

| বুধবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

রাশিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রায় পঙ্গু হয়ে পড়ায় রাজধানী কিইভসহ একাধিক এলাকার বাসিন্দাদেরকে পুরোপুরি বিদ্যুৎবিহীন কিংবা সামান্য বিদ্যুৎ নিয়েই পুরো শীতকাল কাটিয়ে দেওয়ার প্রস্তুত নিতে হচ্ছে। শীতের কারণে এসব এলাকার তাপমাত্রাও এরই মধ্যে হিমাঙ্কের নিচে নেমে গেছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশবাসী, বিশেষ করে কিইভ, দক্ষিণপশ্চিমের ভিনিৎসিয়া, উত্তরের সুমাই এবং কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ওদেসাসহ রুশ হামলায় তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদেরকে বিদ্যুৎ সংরক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

ইউক্রেনের একাধিক স্থান থেকে রুশ সেনাদের পিছু হটার পর সামপ্রতি সপ্তাহগুলোতে মস্কো ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে, রাশিয়ার ছোড়া রকেট ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার অর্ধেক ধসিয়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। রুশ সন্ত্রাসীদের হামলায় আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার পদ্ধতিগত ক্ষতি এতটাই হয়েছে যে আমাদের জনগণ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সচেতন থাকতে হবে এবং পুরো দিনজুড়েই বিদ্যুৎ পুনর্বন্টন করা লাগবে।

চেষ্টা করুন, আপনার ব্যক্তিগত বিদ্যুৎ ব্যবহার সীমিত করতে, বলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সোমবার ইউক্রেনের অন্যতম বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থার প্রধান বলেছেন, অন্তত আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত লাখ লাখ ইউক্রেনীয়কে সম্ভবত নিয়মিত বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় থাকতে হবে। দেশটিতে এখনও অসংখ্য মানুষকে প্রতিদিনই এমন অবস্থা পার করতে হচ্ছে।

কিয়েভে বিদ্যুৎ সরবরাহকারী ওয়াইএএসএনও-র প্রধান সের্গেই কোভালেনকো বলেছেন, শীতের ভয়াবহ ঠাণ্ডা আসার আগেই মেরামত কাজ শেষ করতে কর্মীরা প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। গরম কাপড়, কম্বল মজুদ করুন, বিদ্যুৎবহীন দীর্ঘ অপেক্ষায় আর কী কী বিকল্প জিনিস সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে ভাবুন। বাজে পরিস্থিতিতে পড়ে বাধ্য হয়ে করার চেয়ে এখনই এসব করে ফেলা ভালো, বলেছেন কোভালেনকো।

দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসনের বাসিন্দারা চাইলে যেখানে নিরাপত্তা ও উষ্ণতার ঘাটতি তুলনামূলক কম এমন এলাকায় চলে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে শহরটি ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে রুশ সেনারা খেরসনের গুরুত্বপূর্ণ অনেক স্থাপনাই ধ্বংস করে দিয়েছে, বলছে কিইভ।

রুশ সেনারা চলে যাওয়ার পর ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। খেরসনের বাসিন্দা বিশেষ করে বয়স্ক, নারী, শিশু এবং অসুস্থ ও প্রতিবন্ধীদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক টেলিগ্রাম বার্তায় ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী ইরিনা ভেরেশচুক বলেছেন, একাধিক উপায়ে শহরটি ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করতে পারে বাসিন্দারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধলিপ সেকেন্ড ‘বাদ হচ্ছে’ সময় গণনা থেকে
পরবর্তী নিবন্ধনিহত বেড়ে ২৬৮, হতাহতদের বেশিরভাগই স্কুলশিশু