নিহত বেড়ে ২৬৮, হতাহতদের বেশিরভাগই স্কুলশিশু

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প

| বুধবার , ২৩ নভেম্বর, ২০২২ at ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ

স্কুলে শিশুরা একসঙ্গে শ্রেণিকক্ষে বসে লেখাপড়া করার সময়ই শুরু হয় ভূমিকম্প। একাধিক শ্রেণিকক্ষ ধসে পড়লে ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে তারা। যে কারণে ইন্দোনেশিয়ার জাভায় সোমবারের ভূমিকম্পে হতাহতদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারীরা। শ্রেণিকক্ষে থাকা এমনই একজন ১৪ বছরের আপ্রিজাল মুলিয়াদি। ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় ভূমিকম্পে অন্তত ২৬৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫১ জন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২১ মিনিটে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে জাভা দ্বীপ কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পটির উৎপত্তি ছিল পর্বত বেষ্টিত শহরের কাছে ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার গভীরে। মঙ্গলবার দুর্যোগ ত্রাণ কর্মকর্তারা এমনটিই জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।

ভূমিকম্পে সিয়ানজুর শহরের কাছের কয়েকটি গ্রাম ভূমিধসে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এমনই একটি গ্রাম চিবেরাম। উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ সরাতে প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। সেখানে দায়িত্বরত এক সেনা কর্মকর্তা বলেন, ধসে পড়া দ্বিতীয় তলার ছাদের কংক্রিট ফুটো করে আমাদের লাশের কাছে পৌঁছাতে হবে। আমরা লাশ দেখতে পেয়েছি কিন্তু সেটি দ্বিতীয় তলার ছাদের নিচে পিষ্ট হয়ে আছে।

সোমবারের ভূমিকম্পে দুই হাজার দুইশর বেশি ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ সংস্থার প্রধান সুহারিয়ান্ত রয়টার্সকে বলেন, হাজারেরো বেশি লোক এই দুর্যোগে আহত হয়েছেন। কমপক্ষে ৫৮ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ২২ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার সংস্থার (বাসারনাস) প্রধান হেনরি আলফিয়ানদি বলেন, ভূমিধস এবং উঁচুনিচু ভূমির কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। তিনি বলেন, আক্রান্ত এলাকার পরিধি বাড়ছে। এটি আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ… গ্রামগুলোতে সড়কের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার (বিএনপিবি) পক্ষ থেকে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে জানানো হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধভয়ঙ্কর শীতের অপেক্ষায় ইউক্রেন
পরবর্তী নিবন্ধপ্রশংসায় ভাসছে অমির ‘ব্যাচেলর ফুটবল’