ফিলিস্তিনের পক্ষে ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার কয়েকশ

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়

| শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ at ৮:৫৬ পূর্বাহ্ণ

গাজা যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করায় পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে। বোস্টনের পুলিশ বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজকে জানিয়েছে, এমারসন কলেজ থেকে ১০৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে লস অ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার (ইউএসসি) ৯৩ জনকে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে আটক করা হয়। অস্টিনের টেঙাস বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখান থেকেও ৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। খবর বাংলানিউজের।

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। বোস্টন পুলিশ সিবিএসকে জানিয়েছে, ওই শহরে অভিযানে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তবে কোনো বিক্ষোভকারী হতাহত হয়নি। এমারসন কলেজ এখনও গ্রেপ্তারের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এর আগের এক বিবৃতিতে তারা বলেছিল যে তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অধিকারকে সমর্থন করেএবং কর্মীদের আইন মেনে চলার আহ্বান জানায়। অস্টিনের টেঙাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শত শত স্থানীয় ও রাজ্য পুলিশ ঘোড়ার পিঠে চড়ে, লাঠি হাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার সময় বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা যায়।

গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট বিক্ষোভকারীদের ক্যাম্পাসে মিছিল ঠেকাতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করেন। ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফঙ নিউজ সেভেন অস্টিনের এক ফটোগ্রাফারকে দাঙ্গা পুলিশ ঘিরে রাখার সময় তার ক্যামেরা নিয়ে মাটিতে পড়ে যেতে দেখা যায়। পরে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি নিশ্চিত করে যে ক্যামেরাম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দাঙ্গা পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলেও প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারী পুনরায় সংগঠিত হয়ে ঘাসের ওপর বসে ফ্রি প্যালেস্টাইন বলে স্লোগান দেয়। এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্ক সিটির কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করার পর গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার সকালে কলম্বিয়ায় বিক্ষোভকারীরা সফররত রিপাবলিকান হাউস স্পিকার মাইক জনসনকে হেনস্থা করে। পুরো ক্যাম্পাস কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি পতাকা এবং সত্যিকারের আমেরিকানরা গাজার পাশে দাঁড়িয়েছে, শিক্ষাকে অসামরিকীকরণ করুন এবং গাজায় কোনও বিশ্ববিদ্যালয় অবশিষ্ট নেই’ ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল।

কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়াবার্কলে, ইয়েল, এমারসন ও মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু খাটিয়ে অবস্থান নিয়েছে। ইসরায়েলপন্থী ও ইহুদি গোষ্ঠীগুলো কিছু বিক্ষোভে ইহুদিবিদ্বেষী উপাদান থাকার দাবি করেছে এবং এর ফলে তারা নিরাপদ বোধ করছে না বলে জানিয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমশাবাহিত রোগের ঝুঁকিতে বিশ্বের অর্ধেকের বেশি মানুষ : গবেষণা
পরবর্তী নিবন্ধকাজী জাকির হোসেন