ব্ল্যাক ককাটো!

অর্ক রায় সেতু | বুধবার , ১১ নভেম্বর, ২০২০ at ৬:১৩ পূর্বাহ্ণ

বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয় জানো চিড়িয়াখানায় বিস্ময়কর অদ্ভুত প্রজাতির পশুপাখি রাখা হয়। এদের মধ্যে মানুষের সচরাচর না দেখা এমন অসংখ্য প্রাণী সংগ্রহে রাখা হয়। যা দেখে কিছুটা হলেও আমরা তৃপ্তি পাই। তবে পৃথিবীর কিছু দুর্লভ প্রজাতির পাখি আছে অপরিচিত জায়গায় রাখা মানে তাদেরকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া। সুতরাং উন্মুক্ত আকাশ পাখিগুলোর স্বর্গের সিঁড়ি। তাদের একটি পাখি ইখঅঈক ঈঙঈককঅঞঙঙ। বৈজ্ঞানিক নাম: ঈধষুঢ়ঃড়ৎযুহপযঁং নধহশংরর. দর্শনার্থীদের দেখার জন্য খুব একটা রাখতে দেখা যায়নি পাখিটি। আর খুব বেশিদিন সংগ্রহে রাখা অতটা সহজ ব্যাপার নয়। পাখিটির কামড় যতটা আতঙ্ক সৃষ্টি করে তার চেয়ে দুর্লভ এদের খাবার। কুনারি ট্রি গাছের বাদাম শুধু আহার হিসেবে গ্রহণ করে। এদের খাবার সংগ্রহের ব্যাপারটা মোটেও মানুষের জন্যে সহজলভ্য নয়। শুধু তাই নয় এই পাখিটির মধ্যে পাঁচটি প্রজাতি রয়েছে। মূলত অস্ট্রেলিয়া ব্ল্যাক ককাটোর বাসস্থান। অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি প্রধান ভূখন্ডে ব্ল্যাক ককাটো এবং এদের প্রজাতিগুলো এখনও বাস করে আসছে। ককাটোর লেজ হলুদ-লাল ডোরা কাটা উজ্জ্বল রঙে রাঙানো। ব্ল্যাক ককাটো দেখতে ছবির মতো সুন্দর একটি পাখি। তবে এদের মধ্যে দুটি দক্ষিণ উপ – প্রজাতি হুমকির মধ্যে রয়েছে। ককাটোরা ৪৫-৫০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। পূর্ণ বয়স্ক একটা ককাটোর ওজন ৭২০ গ্রাম হয়। শুষ্ক জায়গা থাকার জন্যে এরা বেছে নেয়। শরীর কালো পালকে আবদ্ধ। সাথে ফোটা ফোটা হলুদ লাল রয়েছে এই পাখির গায়ে। নখগুলো বেশ বড় হওয়াত খুব সহজে তারা কোনো কিছু নিজেদের আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারে। বংশ বিস্তারের সময়কাল হলে পাখিগুলো তাদের গলার স্বর পালটে নেয়। তখন অদ্ভুতভাবে শব্দ করে। অনেকটা এরকম ক্রেড-ক্রেড।
তবে অস্ট্রেলিয়ান এনভায়রনমেন্ট সুরক্ষা আইন অনুযায়ী বলা হচ্ছে প্রজাতির মধ্যে যেসব প্রণী গুলো বিলুপ্তির মুখে ছিলো সব আজ সুরক্ষিত। বর্তমান বাজারে একটা ব্ল্যাক ককাটোর দাম প্রায় ১৬ হাজার ডলার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅবরুদ্ধ সাইকেল
পরবর্তী নিবন্ধবিশাল নীল পানির গর্ত