বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা বন্ধ করা হোক

| মঙ্গলবার , ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ

সত্যিই বিদ্যুৎ নিয়ে এমন তিরিশমাত, ভাবাবার সময় এসেছে। অবাধে বিচরণ করছে বিদ্যুৎ চালিত অটো রিকশা। অলিগলিতে কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় ছুটছে টেম্পু ও অটো রিকশা। কিছু অসাধু লোক ও থানার মাসহারা দিয়ে পুষছে এবং জাগিয়ে রাখছে কিছু মধ্যসত্বভোগী। যা সভ্যতার দৃষ্টিতে অশোভন দৃষ্টান্ত। যা মেনে নেওয়া মোটেও সমীচিন নয়। কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবেন কি?

লোড শেডিং কমলেও বিদ্যুৎ এর দাম দফায় দফায় বাড়িয়ে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলছে। আর এইসব জোচ্চোরদের কারণে মূল্যবৃদ্ধির দায় ভার পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। একটু খোঁজ নিলেই বিদ্যুৎ চুরির থলের কালো বিড়াল বেরিয়ে আসবে। পাওয়া যাবে অনেক তথ্যভিত্তিক রাঘব বোয়ালের অজানা তথ্য। শঙ্কিত হই, বিদুৎ কর্তৃপক্ষ কে বিল না দেওযার আজব কাহিনি। তবে এসব বেশির ভাগ কর্মের অংশীদার অটো রিকশা চালিত সমিতির নেতা ও ক্ষমতাশীল দলের হোমরা চোমরারা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যম এই নিয়ে বিভিন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করলেও কার কথা কে শুনে? বিদ্যুৎ চুরির নানা তুলকালাম কান্ডে অবাক হতে হয়। মনে হয় কর্তৃপক্ষ নাক ডেকে ঘুমিয়ে বিদ্যুৎ চুরিকে বৈধতা দিচ্ছেন। আর সাড়ম্বরে কর্তৃপক্ষ জনগণের কাধে তা তুলে দিয়ে মুক্তির স্বাদ নিচ্ছেন।

হায়রে! অবাক বিস্ময়ে ভাবি, অহংকারের দিকটা ডুবতে বসেছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায়। পানির স্রোতের মত ভেসে যাচ্ছে বিদ্যুৎ রসায়ন। কবে কর্তৃপক্ষ সজাগ হবেন? আবার বিদ্যুৎ এর দাম বৃদ্ধির গল্প গুজব কানে কানে ভাসছে। প্লীজ আর নয় ভোগান্তি, কঠিন জটিল উদ্যোগ নিয়ে ব্যাটারী চালিত অটো রিকসা বন্ধ করে দেশের সমৃদ্ধির ধারাপাত রক্ষা করুন।

সাহাদাত হোসাইন সাহেদ

কাট্টলী, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসুশীলকুমার দে : গবেষক ও সাহিত্যিক
পরবর্তী নিবন্ধকল্পনা কি সারাজীবন কল্পনাই থেকে যাবে