বাঙালির আত্মজাগরণের ঠিকানা অমর একুশ

ড. শিরীণ আখতার | সোমবার , ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৯:৩৬ পূর্বাহ্ণ

উনবিংশ শতাব্দীর সাময়িক পত্রের বিকাশের শুরচতে ‘ সংবাদপূর্ণ চন্দ্রোদয়ে একটি ব্যঙ্গ কবিতা ছাপা হয়,
গিয়াছিনু কলিকাতা, যা দেখিনু গিয়া তথা
কি লিখিব তার কথা।
হায় বিধাতা এই হল শেষে, ভদ্রলোকের ছেলে যত,
কদাচারে সদা রত, সুরাপান অবিরত কতমত কুচ্ছোদেশের
কাঙালি বাঙালি ছেলে, ভুলেও না বাংলা বলে,
ম্লেচ্ছ কহ্নে অনর্গলে তেরিয়া হইয়া পথে চলে,
কাছ দিয়া গেলে বলে গো টু হেল।
অর্থাৎ ইংরেজি সভ্যতা ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আমাদের নবলদ্ধ জ্ঞানে নিজেকে বিশ্লেষণ করে আত্ম আবিষ্কার করলাম। নতুন দৃষ্টিতে দেখলাম ইংরেজ প্রভুকে। যেদিকে তাকাই ইংরেজি ভাষা, সাহিত্য ও কৃৃষ্ঠির রঙ্গিন কাগজে মোড়া বাংলার রূপ। অনেক পেলাম কিন্তু হঠাৎ পেছনে তাকিয়ে দেখলাম নিজেদের ভাণ্ডার শূন্য। সাংস্কৃতিক চেতনায় দেউলিয়া হয়ে বসে আছি আমরা। চিন্তাশীল দেশপ্রেমিক লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সংস্কৃতিসেবী উদ্বিগ্ন হল। মাইকেলের প্রহসন ‘ একেই কি বলে সভ্যতা‘ দীনবন্ধু মিত্রের ‘সধবার একাদশী,’ কালী প্রসন্ন সিংহের ‘হুতোম প্যাঁচার নক্মা’ ইত্যাদিতে উঠে এল সাম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতির নগ্নরূপ। ক্ষুব্ধ কবি ঈশ্বরগুপ্ত আহবান করলেন ‘দেশের কুকুর ধরি বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া’। অর্থাৎ ইংরেজের শোষণ ও নির্যাতনের ফলে বাংলায় এক নব জাতীয়তাবাদের উন্মেষ হল। হর্ষবর্ধন, আকবর যা পারেননি, বহিশত্রচর অত্যাচার তাই পারলো। বাংলায় এক নব ঐক্য চেতনার জন্ম হল। এই চেতনা-স্পর্শ প্রথম এনে দিল আমাদের মনে এক নবতর স্বপ্নের স্বদেশ ‘বাংলাদেশ’। বাংলা শব্দটি বাংলাদেশ বোঝাতে স্পষ্টভাবে উচ্চারিত হতে শুরচ করলো, ধ্বনি উঠলো ‘জয় বাংলা’। সূর্যসেনের বাংলা, তিতুমীরের বাংলা, তোমার বাংলা, আমার বাংলা। সমবেত কণ্ঠে ধ্বনিত হল-আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি। এই জাতীয় চেতনাকে গণ-চেতনায় রূপান্তরিত করার আশায় আমরা দু‘হাত বাড়িয়ে খুজে নিতে লাগলাম আমাদের হারিয়ে যাওয়া সংষ্কৃতিকে। বাঙালি মাথা উঁচু করে ভাবলো-আমাদের অনেক আছে। আছে সৌর্য বীযের অতীত ইতিহাস। আছে সাহিত্য,শিল্পকলা ও লোকজ সাংষ্কৃতিক ঐতিহ্য। সুতরাং আমাদের স্বাধীকার চাই। চট্টগ্রামের বুক কেঁপে উঠলো। সূর্যসেন প্রাণ দিয়ে স্বাধীনতার পতাকাকে সমগ্র ভারতের সামনে তুলে ধরলেন। দীর্ঘ দুই‘শ বছরের ব্রিটিশ শাসনের পর পরাধীনতার অবসানে ভারত বিভাগকালে দুভার্গ্যবশত বাঙালির অস্তিত্ব দ্বিধাবিভক্ত হল। কিন্তু কলকাতা কেন্দ্রিক সমাজে যে বাঙালি সাংষ্কৃতিক চেতনা জেগেছিল ধর্মীয় কারণে দেশ বিভাগের ফলে পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তানে রূপ নিলেও বাঙালির গণমানসে এই চেতনা দ্রচত জাগ্রত হয়। সাংষ্কৃতিক চেতনায় বাঙালি ছিল এক, ধর্ম এখানে বিভেদ সৃষ্টি করেনি। ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত প্রথম পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুললেন। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার উত্তাল তরঙ্গমালা থেকে উত্থিত বাংলার সাংষ্কৃতিক চেতনা প্রকাশের প্রধান মাধ্যম বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নিজেদের উৎসর্গ করলেন বাঙালি।
উনবিংশ শতাব্দীর শুরুতে আমরা কিন্তু বিদেশী ভাষার দাসত্ব গ্রহণ করেছিলাম। দেশের মুষ্ঠিমেয় শিক্ষিত মানুষ সেই ইংরেজি ভাষায় প্রবন্ধ লিখেছেন, জ্বালাময়ী বক্তৃতা দিয়েছেন এবং দেশময় হৈ চৈ শুরচ করেছেন। ইংরেজি ভাষায় সেই দুর্বোধ্য ঝড়ে দেশে অগণিত অশিক্ষিত জনসাধারণ দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। সেই নবজাগরণের যঞ্জে সাধারণ জনসাধারণের আমন্ত্রণ ছিল না। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বিশাল মানবগোষ্ঠিকে ইংরেজি ভাষার কৃত্রিম গণ্ডির বাইরে নির্বাসিত রেখে ইংরেজরা শিক্ষা-দীক্ষায়, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, রাজনীতি-সমাজনীতিতে একটি বিজাতীয় নতুন সংষ্কৃতি গড়ে তোলার অপচেষ্টা করেছিল। দেশের মাটির সঙ্গে, দেশের মানুষের সঙ্গে, দেশের জল-হাওয়ার সঙ্গে যার কোন নিবিড় যোগ-বন্ধন ছিল না। মধুসূদনের মুখে উচ্চারিত হয়েছিল-‘‘ অলীক কু-নাট্য রঙ্গে, মজে লোক রাঙবঙ্গে, নিরখিয়া প্রাণে নাহি সয়।”
কিন্তু একদিন আমাদের জাতীয় জীবনের সেই দুর্দিনে বিজাতীয় ইংরেজি ভাষারও প্রয়োজন ছিল। প্রাচীন যুগের সেই অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করা ও মুঢ়তা থেকে মুক্তির জন্য আমাদের প্রাচ্য কূপমুণ্ডকতার সঙ্গে পাশ্চাত্য চিত্ত সংঘাতের প্রয়োজন ছিল। বিশাল বিশ্ব থেকে নির্বাসিত হয়ে আমরা যে এক আলোহীন, প্রাণহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিলাম, নানা অন্ধ কুসংস্কারে পরিপূর্ণ সেই মনের জড়তাগ্রস্থ, স্থবির অচলায়তনকে বিধ্বস্ত করলো ইউরোপীয় মনের আলোক শক্তি। একথা আজ স্বীকার করতেই হবে যে, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যের হাত ধরে আমরা প্রাচীন রক্ষণশীলতার দুয়ার ভেদ করে আধুনিক যুগের আলোকিত প্রাঙ্গণে পদার্পন করেছি। কবির ভাষায় যা কিছু মহান, বরণ করেছি বিনম্র শ্রদ্ধায়। পাশ্চাত্য শিক্ষা এবং তার বাহন ইংরেজি ভাষা সেই দিক থেকে ছিল আমাদের নবাগত মুক্তিদূত। ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে আমাদের বুদ্ধির মুক্তি ঘটলেও এদেশে ইংরেজি ভাষা প্রবর্তনের মূলে ছিল ইংরেজদের আমাদের মন-জয়ের চক্রান্ত। সেই চক্রান্ত সফল হয়। আর তার ফলেই আসলে এদেশের নবজাগরণ। তা আমাদের বিরাট পাওনা। কিন্তু তাই বলে বিদেশী ভাষা নির্ভরতা কোন জাতির পক্ষেই গৌরবজনক নয়। ইংরেজি ভাষার মধ্যস্থতায় আমরা সুদূর বিশ্বকে জেনেছি। বিশ্বের অগ্রগতির সঙ্গে নিজেদের মুক্ত করতে পেরেছি। কিন্তু আমরা আমাদের ঘরকে, ঘরের মানুষকে, কিংবা ঘরের মানুষের সুখ-দুঃখকে জানতে পারিনি। তাই স্কুল কলেজে ইংরেজি ভাষায় অধিত বিদ্যা স্বভাবতই আমাদের মনের অনুগামী হতে পারেনি। সেজন্য আমরা যে পরিমাণ শিক্ষা পেয়েছি, সে পরিমাণ বিদ্যা পাইনি। রবীন্দ্রনাথ তাই অত্যন্ত দু:খের সঙ্গে বলেছিলেন, ‘চারিদিকের আবহাওয়া থেকে এ বিদ্যা বিছিন্ন, আমাদের ঘর আর ইস্কুলের মধ্যে ট্রাম চলে, মন চলে না।’ ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি যেকোন জাতির আত্মপরিচয়ের উপাদান। হাজার বছরের বাঙালি জাতিসত্তার ইতিহাস ফুটে উঠেছে আমাদের ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে। এ উপাদান গুলোর সমৃদ্ধি আমাদের জাতিয় চেতনা বিকাশের জন্য অপরিহার্য। নিজের ভাষায় কথা বলা, আপন সংস্কৃতির মাধ্যমে নিজের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটানো যে-কোন ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা জাতির মৌলিক ও মানবিক অধিকার। কোন একটি জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রধান হাতিয়ার হলো তার ভাষার অধিকার হরণ করা। যে জাতি মাতৃভাষায় ভাববিনিময়ের অধিকার হারিয়েছেন সে জাতি বোবা। কণ্ঠরচদ্ধ জাতি জীবন্মৃত। মানুষকে জীবনযুদ্ধে লড়তে হয়। লড়াইয়ের জন্য চাই হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার শুধু জ্ঞান নয়, ভাষাও। যে ভাষায় শিশুর মুখে বুলি ফোটে, সে ভাষা তার নি:শ্বাস প্রশ্বাসের মতো হৃৎস্পন্দনের সঙ্গে, তার শোণিত ধারার সঙ্গে মিশে থাকে। মাতৃভাষায় ভাব প্রকাশ তার জন্মগত অধিকার। সেই ভাষাতেই তার বুদ্ধির মুক্তি ঘটা সম্ভব। চীন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, রাশিয়া আজ যে বিজ্ঞান সাধনার চরম সমুন্নতি লাভ করেছে তার মূলে রয়েছে তাদের মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষার আয়োজন। বিজ্ঞানাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসুর মতে, ‘আমাদের জীবনের সকল ভাবচিন্তা, আশা-আকাঙ্খার সঠিক রূপায়ন বাংলা ভাষার মাধ্যমেই সম্ভব।’ যে ভাষায় মধুসূদন, বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র প্রমুখ সাহিত্যের দিক্‌পালগণ তাঁদের প্রতিভার সর্বশ্রেষ্ঠ উপাচার দিয়ে নৈবদ্য রচনা করে গেছেন, তা কখনোই ব্যর্থ হতে পারে না। স্মরণ করতে পারি প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের সেই গানের লাইন-‘ আমি তারি হাত ধরে সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে আসি।’
পাকিস্তানিরা আমাদের সেই ভাষার অধিকার কেড়ে নিয়ে বাঙালি জাতিকে চিরতরে নির্মূল করার অশুভ চক্রান্তে মেতে উঠেছিল। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মত বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা সেদিন গর্জে উঠেছিল অমিত তেজে। বিদ্রোহের বহ্নিশিখা ছড়িয়ে পড়েছিল আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ লক্ষ তরচণের প্রাণে। মায়ের মুখের, প্রাণের ভাষা প্রতিষ্ঠার ও রক্ষার সংকল্প নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সেদিন কৃষক। শ্রমিক, যুবক, বৃদ্ধ ও ছাত্র জনতাসহ আপামর জনগণ। বুকের তাজা রক্তে রঞ্জিত হল একুশে ফেব্রচয়ারি ঢাকার রাজপথ। শহীদ হল অগণিত প্রাণ। কবি মাহাবুব উল আলমের কন্ঠে উচ্চারিত হল ‘কাঁদতে আসিনি, ফাসীর দাবী নিয়ে এসেছি।’ রচিত হলো গান ‘ আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রচয়ারি আমি কি ভূলিতে পারি।’ সৃষ্টি হল উপন্যাস জহির রায়হানের ‘আরেক ফাগুন’। আমাদের সেই ইতিহাসের, আমাদের সেই আত্মত্যাগের অনন্যতার নজির বিশ্বের ইতিহাসে আর একটিও নেই। তাই বাঙালি জাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এবং একুশের চেতনার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে দেশের সকল মানুষের কথায়, কাজে, শিক্ষা-দীক্ষায় সর্বক্ষেত্রেই বাংলা ভাষার ব্যবহার অত্যন্ত জরচরি। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন- এমনকি উচ্চশিক্ষার বিশ্ববিদ্যালয়, প্রকৌশল, চিকিৎসাশাস্ত্র আইন আদালত, জনপ্রশাসন প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার পঠন পাঠন ও ব্যবহার জাতীর সঠিক উন্নতির সোপান।
‘‘ আমরা যেভাবে জীবন নির্বাহ করিব, আমাদের শিক্ষা তাহার আনুপাতিক নহে, আমরা যে গৃহে আমৃত্যুকাল বাস করিব, সে গৃহের উন্নত চিত্র আমাদের পাঠ্যপুস্তকে নাই। যে সমাজের মধ্যে আমাদিগকে জন্ম স্থাপন করিতেই হইবে, সেই সমাজের কোন উচ্চ আদর্শ আমাদের নূতন শিক্ষিত সাহিত্যের মধ্যে লাভ করিনা। আমাদের পিতা-মাতা, আমাদের সুুহৃৎ বন্ধু, আমাদের ভ্রাতা-ভগ্নীকে তাহার মধ্যে প্রত্যক্ষ দেখি না। আমাদের দৈনিক জীবনের কার্যকলাপ তাহার বর্ণনার মধ্যে কোন স্থান পায় না, আমাদের আকাশ এবং পৃথিবী, আমাদের নির্মল প্রভাত এবং সুন্দর সন্ধ্যা, আমাদের পরিপূর্ণ শষ্যক্ষেত্র এবং আমাদের দেশলক্ষ্মী ও স্রোতস্বিনীর কোন সঙ্গীত তাহার মধ্যে ধ্বণিত হয় না। তখন বুঝিতে পারি আমাদের শিক্ষার সহিত আমাদের জীবনের তেমন নিবিড় মিলন হইবার কোন স্বাভাবিক সম্ভাবনা নাই। উভয়ের মাঝখানে একটা ব্যবধান থাকিতেই থাকবে। কিন্তু এই মিলন কে সাধন করতে পারে? বাংলা ভাষা, বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্য বাঙালির চিত্তভূমিতে শ্যামল, সরস ও উর্বর করে অনাগত কালের বাণীতে মূর্ত করে তুলবে এবং তার মনন ও মনীষাকে সফল ও সমৃদ্ধ করে তুলবে।” রবীন্দ্রনাথ উপলদ্ধি করেছিলেন যে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের জীবন ধারার সংযোগ বা যোগ-বন্ধন স্থাপিত না হলে শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধিত হবে না। আর এই সংযোগের মাধ্যম হিসেবে তিনি মাতৃভাষা ব্যবহারকেই প্রাধাণ্য দিয়েছেন। তাঁর ভাষায় ‘মাতৃভাষা মাতৃ-দুগ্ধের মতো মনোজগতের পক্ষে পুষ্ঠিদায়ক’। মাতৃভাষাই সবদেশে সবকালে চিত্তমুক্তির বাহন হয়েছে। এই বাংলাদেশেও তাই হবে। ১৯৫২ সনের ২১ ফেব্রচয়ারি মাতৃভাষার জন্য আত্মত্যাগকারী সেই মহান বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে করিব ভাষায় আহবান জানাই-
আজ সেই শহীদের রক্ত ঋণের
মুক্তি আমরা চাই,
চলো, আজ একুশেই পৌঁছে যাই।

লেখক : সাহিত্যিক; উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধউস্কানির জবাব দেবে না ইউক্রেন
পরবর্তী নিবন্ধএকুশের পাদপীঠে ত্রৈবিদ্য নিবেদন : পরিপ্রেক্ষিত চট্টগ্রাম