ফের টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ৩ জুন, ২০২২ at ৪:৩১ পূর্বাহ্ণ

টেস্টে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স একেবারে হতশ্রী। তার উপর দলের অধিনায়ক মোমিনুল হক নিজে রান পাচ্ছিলেন না। নেতৃত্বের বোঝাটা যেন তার উপর বড্ড চাপের সৃষ্টি করছিল। যে কারণে নিজে যেমন রান পাচ্ছিলেন না তেমনি দলকেও পারছিলেন না জয় উপহার দিতে। তাই গত মঙ্গলবার বিসিবি সভাপতির সাথে দেখা করে অধিনায়কত্ব ছাড়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন মোমিনুল। তারপর থেকে হাওয়ায় ভাসছিল টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের নাম। কিন্তু কিছুটা সংশয় ছিল বিসিবি সভাপতির। তা হলো সাকিব কখন আবার বলে বসে অমুক সিরিজে আমি খেলবো না। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিবের উপরই আস্থা রাখল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। টাইগারদের টেস্ট দলের কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। আর সহ অধিনায়ক করা হয়েছে লিটন দাশকে।

গতকাল ক্রিকেট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের নিজেই সাকিবকে অধিনায়ক করার কথা ঘোষণা করেন। এবারসহ তিন দফায় বাংলাদেশের টেস্ট দলের অধিনায়ক হলেন সাকিব। কাকতালীয়ভাবে তিনবারই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে শুরু হয়েছে তার অধিনায়কত্ব। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথমবার দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সাকিব মাত্র ২২ বছর বয়সে। দ্বিতীয় দফার নেতৃত্বও শুরু হয় ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এবার সেই ক্যারিবিয়ান সফর দিয়েই শুরু হচ্ছে তার নেতৃত্বের নতুন অধ্যায়।

ব্যাটিংয়ে মন দিতে মোমিনুল হক টেস্ট নেতৃত্ব ছাড়তে চাওয়ার পর তাকে সেই দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিয়েছে বিসিবি। মোমিনুল অধিনায়ক থাকার সময় কোনো সহঅধিনায়ক না থাকলেও এবার লিটন দাশকে সহঅধিনায়ক করেছে বিসিবি। গত কয়েকদিনে বিসিবি পরিচালকদের কথায় অনেকটাই নিশ্চিত ছিল সাকিবই পাচ্ছেন দায়িত্ব। তার ক্রিকেট বোধ ও নেতৃত্বগুণ নিয়ে কোনো প্রশ্ন ছিল না। কিন্তু সংশয় ছিল কেবল টেস্টে তাকে নিয়মিত পাওয়া নিয়ে। আইসিসির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ২০২০ সালে ফেরার পর থেকে সদ্য সমাপ্ত শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগ পর্যন্ত দেড় বছরে মাত্র তিনটি টেস্টে তাকে পেয়েছে দল।

২০০৯ সালের জুলাইয়ে প্রথম দফার নেতৃত্বের সময়টায় তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা হিসেবে। দলও সাফল্য পায় কিছু। বিশেষ করে ওয়ানডে ক্রিকেটে। তবে ২০১১ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ব্যর্থতা আর মাঠের ভেতরেবাইরে নানা বিতর্কে সমালোচনার মধ্যে পড়েন সাকিব। অবশেষে ওই বছরের আগস্টে জিম্বাবুয়ে সফরে দলের ব্যর্থতার পর নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তাকে। ৭ বছর পর আবার টেস্ট নেতৃত্বে ফিরেন তিনি ২০১৮ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে। এবার তার দায়িত্ব শেষ হয় ২০১৯ সালের অক্টোবরে। সেবার জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হন সাকিব। এবার তৃতীয় দফায় নেতৃত্ব পেলেন সাকিব। আগের দুই দফায় ১৪টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাকিব। যেখানে বাংলাদেশ দল জিতেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ। আর এই নতুন দফায় দায়িত্বে প্রথম টেস্ট আগামী ১৬ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশের ৫ কোটি মানুষের ক্রয়ক্ষমতা পশ্চিমা বিশ্বের মতো : বাণিজ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধহোটেল-রেস্তোরাঁয় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সজাগ থাকার নির্দেশ