পিতার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৬ পূর্বাহ্ণ

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার পিতার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পিবিআই। সেখানে থাকা তথ্য উপাত্তসমূহ স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের মামলায় একীভূত করতে আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল বিকালে নগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পিবিআই মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে প্রসিকিউশনের এডিসি কামরুল হাসান আজাদীকে বলেন, পিবিআইয়ের দাখিলকৃত ২৭৬ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি আমরা আগামীকাল (আজ) আদালতের কাছে উপস্থাপন করব। ৬ তারিখ এটির গ্রহণ বিষয়ে শুনানি হবে। এদিকে একই দিন দুপুরে বাবুলের করা মামলায় তার জামিন চেয়ে করা আবেদনটি নাকচ করে দেন মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমান।

এ বিষয়ে মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, মিস মামলা করে জামিন আবেদন করেছিলেন বাবুলের আইনজীবী। আমরা বিরোধিতা করেছি। আদালত আমাদের বিরোধিতা আমলে নিয়ে আবেদনটি নাকচ করে দেন।

আদালত সূত্র জানায়, মিতুর পিতার করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা বাবুলকে তার নিজের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে গত ৯ জানুয়ারি আদেশ দেন আদালত। গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ চেয়ে এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর আদালতের কাছে আবেদনটি করা হয়।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে পাঁচলাইশ থানাধীন ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মিতু। এই ঘটনায় তখন বাবুল আক্তার বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। সে সময় বাবুল আক্তার দাবি করেন, জঙ্গিরাই তার স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করেছে। উক্ত মামলা ডিবি পুলিশ হয়ে তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্ত শেষে সংস্থাটি গত বছরের ১২ মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। যেখানে বলা হয়, বাবুল আক্তারই স্ত্রী মিতুকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেন।

পিবিআইয়ের ওই চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে একই বছরের ১৫ অক্টোবর আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন বাবুল আক্তার। ৩ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হলে চূড়ান্ত প্রতিবেদনের সাথে নারাজি পিটিশনটিও খারিজ করে দেন ম্যাজিস্ট্রেট এবং মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

প্রসঙ্গত, বাবুলের মামলায় পিবিআই যেদিন আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে সেদিন পাঁচলাইশ থানায় মিতু খুনের ঘটনায় বাবুল আক্তারসহ ৮ জনকে আসামি করে বাবুলের শ্বশুর মিতুর পিতা মোশারফ হোসেন নতুন একটি মামলা করেন। শ্বশুরের করা সে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বাবুল আক্তারই পরিকল্পিতভাবে স্ত্রী মিতুকে লোক লাগিয়ে হত্যা করে। একপর্যায়ে বাবুল আক্তারকে শ্বশুরের করা এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগের দিন ১১ মে ঢাকা থেকে ডেকে নিয়ে তাকে হেফাজতে নেয় পিবিআই। সেই থেকে তিনি ফেনী কারাগারে আছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হলে অস্পষ্টতা দূর হবে
পরবর্তী নিবন্ধএক বৈদ্যের অন্ধকার জগৎ