চূড়ান্ত প্রতিবেদন গৃহীত হলে অস্পষ্টতা দূর হবে

পিবিআই মেট্রোর পুলিশ সুপার নাইমা সুলতানা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৬ জানুয়ারি, ২০২২ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে তার পিতার করা মামলায় গতকাল আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। এ বিষয়ে আদালত ভবনে আজাদীর সাথে কথা বলেছেন পিবিআই মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা। তিনি বলেন, মিতুর পিতা মোশাররফ হোসেন যে মামলাটি করেছেন সেই মামলায় আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছি। এ মামলায় তথ্য উপাত্ত যা ছিল তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে বেশ কিছু ১৬৪ ধারার জবানবন্দি রয়েছে, যার কারণে এ মামলার তথ্য উপাত্ত বাবুল আক্তারের করা মামলার সাথে একীভূত করতে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছি। দাখিলকৃত চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি গৃহীত হলে এ ঘটনায় মামলা বিষয়ক যে অস্পষ্টতা দেখা দিচ্ছে তা দূর হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আবেদন অনুযায়ী যদি আদেশ পেয়ে যাই তাহলে যে টেকনিক্যাল ত্রুটির কথা বলা হচ্ছে অথবা অস্পষ্টতা বা আইনি জটিলতার বিষয় সামনে আসছে, আশা করছি ভবিষ্যতে তা আর থাকবে না।

আদালতের নির্দেশেই আমরা একটি মামলার তদন্তের দিকে যাচ্ছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঘটনা যেহেতু একটি, ভিকটিমও একজন। আদালতও বলেছেন, এ ঘটনায় একটি মামলার তদন্ত হওয়া উচিত। সে অনুযায়ী অর্থাৎ আদালতের আদেশ অনুযায়ী আমরা একটি মামলা তদন্ত করছি। মিতু খুনে বাবুলের সম্পৃক্ততা বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা প্রথমেই বলেছি যে, প্রথম মামলাটিতে অর্থাৎ বাবুলের করা মামলাতেই তাকে আসামি হিসেবে পাচ্ছিলাম। তিনি ঘটনায় জড়িত। দুটি মামলাতেই তো তার সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে।

আইনি রেওয়াজের বিষয় টেনে পিবিআইয়ের এ পুলিশ সুপার বলেন, সাধারণত কোনো অপরাধ সংঘঠিত হলে তাতে একটি মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হলে আমরা তদন্ত করি। তদন্ত করে যদি দেখি, বাদী আসামি হয়ে যান, সেক্ষেত্রে পুলিশের এবং আইনি রেওয়াজ অনুযায়ী তদন্ত করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে থাকি। নতুন একটা মামলা রুজু করলে আমরা সে মামলারও তদন্ত করতে থাকি। বাবুল আক্তার যে মামলার বাদী ছিলেন সে মামলা যখন আমরা তদন্ত করছিলাম তখন হত্যার মোটিভ উদঘাটন করি এবং সাথে সাথে তাকে গ্রেপ্তার করি। পরে আমরা সে মামলাতে চূড়ান্ত প্রতিবেদনও দিই। কিন্তু আদালত তা গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। সে অনুযায়ী আমরা এ মামলা অধিকতর তদন্ত করছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশপথ নেয়ার পর চার ইউপি চেয়ারম্যান আটক
পরবর্তী নিবন্ধপিতার মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল