পরের টেস্টে আরো ভালোর আশা বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৫৮ পূর্বাহ্ণ

অনেক শংকা নিয়ে শ্রীলংকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সময়টা একেবারেই খারাপ যাচ্ছিল। হারের বৃত্তে বন্দী হয়ে পড়েছিল টাইগাররা। সে বলয় ভাঙ্গার আশা নিয়ে শ্রীলংকায় পাড়ি জমিয়েছিল দুই টেস্টের সিরিজ কেরতে। সেখানেও অবশ্য জেতা হয়নি সিরিজের প্রথম টেস্টে। তারপরও অনেক প্রাপ্তি হয়েছে এই ম্যাচে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছন্দে ফিরেছে সেটাই অনেক বড় প্রাপ্তি। শ্রীলংকার প্রচন্ড গরম এবং ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে অবশ্য সুবিধা করতে পারেনি বোলাররা। একেকটি উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরার দশা হয়েছিল দুই দলের বোলারদের। তারপরও তাসকিনের বোলিং কিছুটা হলেও আশা জাগিয়েছে। বাংলাদেশের ‘টিম লিডার’ খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন দ্বিতীয় টেস্টে হয়তো অন্যরকম উইকেট পাওয়া যাবে। বাংলাদেশ দলও চাইছে দ্বিতীয় টেস্টে এই উইকেটের পরিবর্তন।
পাল্লেকেলেতে প্রথম টেস্টে পাঁচ দিন মিলিয়ে উইকেট পড়ে কেবল ১৭টি। পঞ্চম দিনের লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত গড়ায় দুই দলের প্রথম ইনিংস। পুরো পাঁচ দিনে খুব একটা পাল্টায়নি উইকেটের আচরণ। শুরুতে উইকেটে ঘাস থাকলেও পেসারদের জন্য ছিল না কোনো সুবিধা। বরং সেই ঘাসের জন্য উইকেট ভাঙেনি এতটুকুও। তাই দুই দল আশায় থাকলেও চতুর্থ এবং পঞ্চম দিনেও স্পিনারদের জন্য মেলেনি সহায়তা। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেটে ৫৪১ রান করেছিল বাংলাদেশ। জবাবে শ্রীলংকা করেছিল ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান। বৃষ্টি আগেভাগেই রান উৎসবের ম্যাচ শেষ করার আগে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ করে ২ উইকেটে ১০০ রান। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট। ভেন্যু সেই পাল্লেকেলে। তবে খালেদ মাহমুদের ধারণা এই টেস্টে হয়তো উইকেট একইরকম হবে না।
প্রথম টেস্টে উইকেট ছিল একেবারেই নিস্প্রান। তার উপর এই গরম কন্ডিশনে, এ ধরনের উইকেটে ম্যাচের ফল হওয়া আসলেই কঠিন। তাই আমি মনে করি এরপর আমাদের জন্য অন্যরকম কিছু অপেক্ষা করছে। তবে সেটা কি তা এখনই বলা যাবে না উইকেট না দেখে। মাঠে গিয়ে উইকেট দেখে হয়তো বলতে পারব পরের ম্যাচের পরিকল্পনা কি করতে হবে। প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা শেষে শ্রীলংকার কোচ মিকি আর্থার বলেছিলেন, পরের টেস্টে তাদের চাওয় অন্য রকম উইকেট। আর ম্যাচ শেষে লংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নেও জানিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্টে বোলারদের জন্য সহায়তা থাকে তেমন উইকেট চান তিনি। তাই খালেদ মাহমুদও নিশ্চিত পরের টেস্টে অন্য রকম উইকেটে খেলা হবে। দ্বিতীয় টেস্টের উইকেট সিমিং নাকি স্পিনিং হবে জানি না। তবে অবশ্যই নিষ্প্রাণ উইকেট হবে না বলেই আমি মনে করি। শ্রীলংকা দলও হয়তো খুব একটা পছন্দ করেনি এই উইকেট। তিনি বলেন আমি খুবই দুঃখিত বোলারদের জন্য। দুই দলের বোলারদের জন্যই। এই উইকেটে বোলারদের জন্য ম্যাচ জেতানো কঠিন। টেস্ট ম্যাচ ২০ উইকেটের খেলা। আমাদের বোলিং আক্রমণ থেকে ওদের ফাস্ট বোলিং আক্রমণ অনেক অভিজ্ঞ ছিল। হয়তো আমরা স্পিনে বেশি অভিজ্ঞ ছিলাম। কিন্তু পেসে ওরা। ওরাই এখানে বেশি উইকেট নিতে পারেনি। তাই পরের ম্যাচে হয়তো অন্য রকম উইকেট আশা করছি আমরা। আর সে উইকেটে অন্য রকম কিছু করতে চায় বাংলাদেশ ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকমনওয়েলথ গেমসে সরাসরি খেলার সুযোগ হয়নি সালমাদের
পরবর্তী নিবন্ধএক ইউরোতে বাড়ি মিলছে ইতালিতে