পটিয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত এক আওয়ামী লীগ নেতাকে চিকিৎসা সেবা দিতে দেরি হওয়ার অভিযোগে এক চিকিৎসককে মারধর করার মামলায় রফিক হাসান (৪৬) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে পটিয়া পৌর সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হাসপাতালে হামলার সময় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ তাকে সনাক্ত করে বলে জানা যায়।
পটিয়া থানার ওসি জসীম উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজে সনাক্ত করে রফিক হাসান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি জানান, মামলার অন্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কাজ করছে। খুব শীঘ্রই সব আসামিকে আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশের (২৯) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় ঐ চিকিৎসককে মেরে আহত করে রোগীর লোকজন। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার ঈদের দিন রাতে হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক এস এইচ খাদেমী প্রকাশ বাহাদুর বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোহাম্মদ মুকুল, মোহাম্মদ টিপু ও পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ–সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সৈয়দসহ অজ্ঞাত আরো ১০–১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সাইফুল্লাহ পলাশ (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রক্তিম দাশ আহত সাইফুল্লাহ পলাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে পরবর্তী চিকিৎসার জন্য অপারেশন রুমে নেন। অপারেশন রুমে যেতে দেরি হওয়ায় ডা. রক্তিম দাশকে হাসপাতালেই মারধর করা হয় এবং সরঞ্জাম ভাঙচুর করা হয়।