নির্বাচন পর্যন্ত নতুন ভোটার অন্তর্ভুক্তি বন্ধ

পাওয়া যাবে জাতীয় পরিচয়পত্র

শুকলাল দাশ | রবিবার , ১ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:৩৭ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটার তালিকায় নতুন করে আর অন্তর্ভুক্তির সুযোগ আর নেই। তবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংগ্রহ করতে চাইলে নির্ধারিত ফরম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র নিতে পারবেন দেশের যেকোনো নাগরিক। নির্বাচনের পর আবার নতুন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়া যাবে।

নির্বাচন কমিশন সর্বশেষ গত ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নতুন করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল। এছাড়া যাদের এনআইডির তথ্য সংশোধন করা প্রয়োজন তারাও আবেদন করতে পারবেন। সংশোধন সংক্রান্ত কার্যক্রম সংসদ নির্বাচন চলাকালীন অব্যাহত থাকবে।

চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের সদ্য বিদায়ী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাঃ জাহাঙ্গীর হোসেন আজাদীকে বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নতুন করে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আর সুযোগ নেই। তবে যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে। কারণ জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। এখন আর নতুন করে ভোটার হওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনী এলাকাকেন্দ্রিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে।

ইসি সূত্রগুলো জানিয়েছে, যাদের বয়স চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ১৮ বছর হয়েছে কিন্তু ভোটার হননি, তাদের সংসদ নির্বাচনের আগে ভোটার হওয়ার জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সুযোগ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে যারা এই সময়ের মধ্যে ভোটার হতে পারেনি তাদের আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত আর সুযোগ নেই। তবে যাদের এনআইডি প্রয়োজন তাদের সুযোগ বহাল রাখা হয়েছে। অর্থাৎ ১ জানুয়ারির আগে যাদের বয়স ১৮ হলেও ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভোটার হতে আবেদন করেননি, তাদের এনআইডির প্রয়োজন হলে ১৪ সেপ্টেম্বরের পরেও আবেদন করে তা নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে তারা সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না। এ বিষয়ে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে। আর ভোট গ্রহণ হবে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা ও থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাইবাছাই করার জন্য পাঠানো হয়। এরপর উপজেলা ও থানাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হবে ২৮ অক্টোবর। সব শেষে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।

১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ওপর দাবিআপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবিআপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ছিল ১৭ সেপ্টেম্বর। ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৪ সেপ্টেম্বর।

সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৪ লাখ ৪৫ হাজার ৭২৪ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৭ লাখ ৪ হাজার ৮৭৯ জন। এছাড়া হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১৫ থানার জন্য নগর বিএনপির ১৫ সমন্বয় কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধওয়াশিংটন সফর শেষে লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী