একনেকে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট প্রকল্প অনুমোদন

ম চমেক হাসপাতাল ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার টাকা ম আগস্টে কাজ শুরুর আশা

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১০ মে, ২০২৪ at ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ

চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গোঁয়াছি বাগান এলাকায় ১৫০ বেডের বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পেয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় বার্ন ইউনিট প্রকল্পসহ আরো ১০টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮৪ কোটি ৭৬ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৫ টাকা। এর মধ্যে চীন দেবে ১৭৯ কোটি ৮৩ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ টাকা এবং সরকার দেবে ১০৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩১ হাজার ৯৫৫ টাকা। এছাড়া চীন থেকে আমদানিতে ট্যাক্স ভ্যাট বাবদ ৭০ কোটি টাকাসহ সংযোগ রাস্তা, সীমানা প্রাচীর, বৈদ্যুতিক সংযোগ, দুটি অ্যাম্বুলেন্স ও কেমিক্যাল রিঅ্যাজেন্ট আনার খরচ ধরা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ছয় তলা ভবন, জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগ, ল্যাবরেটরি, অপারেশন থিয়েটার, ১০টি আইসিইউ বেড, ১০টি পুরুষ এইচডিইউ বেড, ১০টি মহিলা এইচডিইউ বেড ও ৫টি শিশু এইচডিইউ রয়েছে। এছাড়া ১১৫ বেডের ওয়ার্ডে মহিলাদের জন্য বেড রাখা হয়েছে ৪৫টি।

জানতে চাইলে চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান জানান, একনেকের সভায় বিশেষায়িত বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ শিগগিরই ডিজাইন রিভিউ চূড়ান্ত করবেন বলে আমাদের জানিয়েছে। এরপর তারা টেন্ডারের মাধ্যমে নির্মাণ কাজের যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে আগামী আগস্ট মাসে কাজ শুরু করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

জানা গেছে, সরকারের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সম্পূর্ণ আলাদা অবকাঠামোতে চট্টগ্রামে বিশেষায়িত বার্ন ইউনিট গড়ে তোলার আগ্রহ প্রকাশ করে চীন সরকার। এরপর চীনা প্রতিনিধি দল গত ২০১৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চমেক হাসপাতাল এলাকায় সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন করেন। এরপরের কয়েক বছরে চীনা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে চমেক হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের কয়েক দফা বৈঠক হলেও বার্ন ইউনিটের নির্মাণ কার্যক্রম স্থান নির্বাচন জটিলতায় আটকে ছিল। পরবর্তীতে গত ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি কেন্দ্র তৈরির জন্য চমেক হাসপাতাল এলাকার গোঁয়াছি বাগান এলাকায় স্থান নির্বাচন করে চমেক হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের জানায় চীন সরকার।

এরপর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে চট্টগ্রামে এসে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন, ভবনের নকশা অনুযায়ী সবকিছু পরিমাপ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো যাচাই করে চীনা প্রতিনিধিদল। সর্বশেষ গত ৩০ মার্চ এ বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষর হয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে। হাসপাতাল চীনা সরকার তৈরি করলেও এটি পরিচালনার জন্য জনবল নিয়োগ করবে বাংলাদেশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইপিজেডে ছুরিকাঘাতে পোশাক শ্রমিক নিহত
পরবর্তী নিবন্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টিম গঠন