প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদের মৃত্যু এবং পাইলট উইং কমান্ডার সোহান হাসান খাঁনের আহত হওয়ার ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান। আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। অপরদিকে দুর্ঘটনার তদন্ত করতে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত টিম গঠন করেছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল মুঃ কামরুল ইসলাম ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে ছুটে আসেন। তিনি উদ্ধার কার্যক্রম তদারকিসহ যাবতীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেছেন। বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক এর এয়ার অধিনায়ক এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে এম শফিউল আজম ঘটনার পর থেকে উদ্ধার কার্যক্রমসহ প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান করে আসছেন।
প্রশিক্ষণ বিমানে দুর্ঘটনার ব্যাপারে আইএসপিআর থেকে বলা হয় যে, ইয়াক–১৩০ প্রশিক্ষণ বিমানটি উক্ত দুই পাইলট নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গতকাল সকাল ১০ টা ২৫ মিনিটে বিমান বাহিনী ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়ন করেন। কিন্তু প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনায় পতিত হন। দুর্ঘটনার পর বৈমানিকদ্বয় উইং কমান্ডার মোহাম্মদ সোহান হাসান খাঁন এবং স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুট দিয়ে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন। বিমানের দুইজন বৈমানিককে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। বৈমানিকদ্বয়ের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দ্রুত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গাতে নেয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, বিমানটিতে আগুন ধরে যাওয়ার পর বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে বৈমানিকদ্বয় অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে বিমানটিকে বিমান বন্দরের নিকট অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনশূন্য এলাকায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন। বৈমানিকদ্বয়ের এই চেষ্টা বড় ধরনের ক্ষতি এড়িয়েছে।