বিশ্ব নতুন বছরে পদার্পণের দ্বারপ্রান্তে থাকার এই সময়ে বহু জনস্বাস্থ্য এবং সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ধারণা করছেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর ওপর নজর রাখাটাই হবে আগামী দিনে কোভিড–১৯ সংক্রমণ কমিয়ে রাখার চেষ্টায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। কেউ কেউ আবার চীনে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বাড়ার দিকটিতে নজর রেখেছেন। খবর বিডিনিউজের।
করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনটির উপধরনগুলো বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে জানিয়ে জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের মাইক্রোবায়লজিস্ট অ্যান্ড্রু পেকজ বলেন, আমরা ওমিক্রনের উপধরনের ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে কিছুদিনের মধ্যে বড় ধরনের কোনও উল্লম্ফন দেখিনি। কিন্তু এটি এমন একটি পর্যায়ে যাচ্ছে যে, আমাদেরকে এর গতি–প্রকৃতি নজরে রাখতে হবে। সিএনএন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী, দেশটিতে প্রায় সব ধরনের কোভিড সংক্রমণই ঘটাচ্ছে ওমিক্রনের উপধরন বিকিউ.১.১, বিকিউ.১, এঙবিবি, বিএ.৫, বিএফ.৭ ও বিএন.১। ওমিক্রনের নানা উপধরন বিশ্বব্যাপীও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখনও চলতে থাকায়, বিশেষ করে চীনে বিধিনিষেধ শিথিলের পর কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকায় এখন উদ্বেগ দেখা দিয়েছে, কোভিড–১৯ এর এই ধারা ২০২৩ সালেও গড়াতে পারে এবং করোনাভাইরাসের নতুন নানা ধরনের প্রাদুর্ভাব ঘটার ঝুঁকিও থাকতে পারে। ‘এটি একটি উদ্বেগের বিষয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশভিলের ভান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এবং ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইনফেকশাস ডিজিজের প্রফেসর ড উইলিয়াম শেফনার।
চীনে কোভিড সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার মধ্যে তাই পূর্ব সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সেদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের জন্য নতুন সব নিয়মবিধি চালুর ঘোষণা দিয়েছে রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র। চীন থেকে যাওয়া যাত্রীদের কোভিড নেগেটিভ সনদ দেখানো বাধ্যতামূলক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৫ জানুয়ারি থেকে চীনের মূল ভূখণ্ড, হংকং ও ম্যাকাও থেকে যাওয়া সব যাত্রীর জন্যই নতুন এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ওই যাত্রীদের তাদের ফ্লাইটের সময়ের সর্বোচ্চ ৪৮ ঘণ্টা আগে করা পিসিআর বা এন্টিজেন শনাক্তকরণ পরীক্ষার ফলের সনদ দেখাতে হবে।
চীন থেকে তৃতীয় কোনো দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ কিংবা অন্য কোনো দেশে যেতে যুক্তরাষ্ট্রে ফ্লাইট বদলানোর ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।