দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে ফের কারাগারে কন্সটেবল রুবেল শর্মা

মেজর (অব.) সিনহা হত্যা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৫ নভেম্বর, ২০২০ at ১১:০৬ অপরাহ্ণ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে বিবেচিত টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশের ‘প্রধান’ সহযোগী রুবেল শর্মাকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ফের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রিমান্ডে রুবেল শর্মা সিনহা হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন বলে জানায় মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।
রুবেল শর্মাকে মেজর সিনহা হত্যা মামলার সন্দেহজনক আসামী হিসাবে গত ১৪ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে র‌্যাব।
গত ২ অক্টোবর তাকে প্রথম দফায় ৭ দিনের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। এরপর গত ৮ অক্টোবর রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
তারপর গত ১ নভেম্বর তাকে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়। তবে দ্বিতীয় দফা রিমান্ডেও রুবেল শর্মা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেননি।
সিনহা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ খায়রুল ইসলাম জানান, কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী না দিলেও দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে সিনহা হত্যা সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন রুবেল শর্মা। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আর নতুন রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় এপিবিএন’র চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান।
এ ঘটনায় ৫ আগস্ট নিহত মেজর (অবঃ) সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় র‌্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলামকে।
মামলায় ওসি প্রদীপসহ ৭ আসামী আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বাকী ২ জন পুলিশ সদস্য নয় বলে জানায় জেলা পুলিশ।
পরে মামলায় আরো ৭ জনকে আসামী ও গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৮ জন পুলিশ সদস্য, ৩ জন এপিবিএন সদস্য ও ৩ জন স্থানীয় বাসিন্দা।
ইতোমধ্যে গ্রেফতারকৃতদের বিভিন্ন দফায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর ওসি প্রদীপ ও রুবেল শর্মা ছাড়া বাকী ১২ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন।
এদিকে মেজর সিনহা হত্যার ঘটনায় নজিরবিহীনভাবে কক্সবাজার জেলার সকল পুলিশ সদস্যকে অন্যত্র বদলী করে দেয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাঁশখালীর চাম্বলে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা