দেশে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। যা গত ৫৮ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গতকাল এর সংখ্যা ছিল ২১। আর গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ছয় হাজার ২৫৪ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ২১২ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ৬৮৪ জনে।
মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৪৯ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১১৭টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ৬০২টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৯৫২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার ১৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮০ দশমিক ৮১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৯ জনের মধ্যে ৩০ জন পুরুষ ও নারী নয় জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ২২ জন, চট্টগ্রাম ও রংপুর বিভাগে পাঁচ জন করে ১০ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন জন। এছাড়া বরিশাল ও সিলেট বিভাগে দুই জন করে চার জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ৩৯ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ২৪ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৮১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৮৮ হাজার ৭৪৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৫৫১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ১৯৪ জন।