তবুও হাসি নেই চাষিদের মুখে

আগাম চাষ করতে না পারায় ভালো দাম থেকে বঞ্চিত।। মীরসরাইয়ে হিমাগারের দাবি

মীরসরাই প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ at ৬:৫১ পূর্বাহ্ণ

সবজি চাষে মীরসরাই উপজেলা চট্টগ্রামের শীর্ষ এলাকা। কিন্তু এবার আগাম চাষ করতে না পারায় শীতকালীন সবজির ভালো দাম থেকে বঞ্চিত চাষিরা। অথচ ফলন ভালো হয়েছে। ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।
দামের দিকে পোষাতে না পেরে মুখে হাসি নেই কৃষকের। তবুও থেমে নেই কেউ।
গত ২৮ ডিসেম্বর সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, মীরসরাই উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. মুছা (৫২) ৫ জন শ্রমিক নিয়ে তার ফুলকপি ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। তিনি বলেন, এবার আগাম চাষ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দুইবার চারা রোপণ করতে হয়েছে। প্রায় দেড় কানি জমিতে ৮০ হাজার টাকা পুঁজি খাটিয়েছি। কিন্তু এখনো অর্ধেক খরচও উঠেনি। পুরো জমিতে ৭০ হাজার টাকাও উঠবে না। বাকি টাকা ও শ্রম সবই লোকসান।
এর কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে আগাম সবজি আমাদের আগে বাজারে চলে এসেছে। আমরা আগে ফলন তুলতে পারলে দাম বেশি নিতে পারতাম। এখন চারদিক থেকে সবজি বাজারে উঠে যাওয়ায় দাম কম দিতে চাইছেন বেপারিরা।
একই কথা বললেন অপর সবজি চাষি জয় মঙ্গল বিপ্লব (৪৫)। কম খরচের জন্য নারী শ্রমিক নিয়েও পোষাতে পারছেন না বলে জানান তিনি। কৃষক মুছা মিয়া দুঃখ করে বলেন, এখন সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না। পাইকাররা এখানেই চলে আসেন। কিন্তু চালানের সবজির আধিপত্যের জন্য স্থানীয় কৃষকরা প্রতিকূলতার শিকার হচ্ছে। এখানে একটি হিমাগার স্থাপন করা গেলে ন্যায্যমূল্য ও কৃষি পণ্য সংরক্ষণে অনেক সুবিধা পাওয়া যেত।
মীরসরাই উপজেলা কৃষি সুপারভাইজার কাজী নুরুল আলম বলেন, এবার উপজেলায় ৬৫ হেক্টর জমিতে ফুলকপি ও ৬০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। এছাড়া সিম, টমেটো, আলু, লাউ চাষ হয়েছে। তিনি জানান, প্রায় ৫ হাজার কৃষক মৌসুমি সবজি চাষ করে থাকেন। ফুলকপি ও বাঁধাকপি চাষি রয়েছেন ৬ শতাধিক। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে মৌসুমি সবজি চাষে ব্যাঘাত ঘটেছে। আগাম চাষ করতে না পারায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফেইমে অভিনয় কোর্সে ভর্তি প্রসঙ্গে
পরবর্তী নিবন্ধসাবেক পৌর কাউন্সিলর মুন্সি মিয়া সওদাগর