খাগড়াছড়িতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে গতকাল সকাল থেকে যথাযথ ধর্মীয় ভাবগম্ভীর পরিবেশে খাগড়াছড়ি জেলাসহ ৯টি উপজেলায় বৌদ্ধ বিহারগুলোতে এ ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করছে বৌদ্ধ সমপ্রদায়। বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে ধর্মপূর আয্যবন বিহার, য়ংড বৌদ্ধ বিহার, বনবিহারসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ মন্দিরে ধর্মীয় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় দীঘিনালা বন বিহার থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। এছাড়া বিকেল ৪০টায় য়ংড বৌদ্ধ বিহার থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
চিকিৎসক জয়া চাকমা বলেন, একই দিনে বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ, বুদ্ধত্ব লাভ ও মৃত্যুবরণ করেছেন। এ কারণে বুদ্ধের ত্রিস্মৃতি দিনটি আমাদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সারাদিন আমরা নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করব।
বিহারে আসা সুস্মিতা খীসা বলেন, আমারা এখানে বুদ্ধ পুজা করেছি, সংঘদান করেছি। এছাড়া পরিবার ও সমাজের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করেছি।
বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারে বুদ্ধ পূর্ণিমায় উপাসক–উপাসিকা ও পূণ্যার্থীরা বুদ্ধপূজা, পিণ্ডদান, পঞ্চশীল প্রার্থনা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কারদান, বুদ্ধ মূর্তিদান করা হয়।
খাগড়াছড়ির প্রাচীন য়ংড বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ক্ষেমাসেরা মহাথের বলেন, আজকে (গতকাল) বুদ্ধ পূর্ণিমার দিনে পরিবার, সমাজ, দেশ এবং বিশ্বের মঙ্গলের জন্য বুদ্ধমূর্তি দান, সংঘদান, অষ্ট পরিষ্কার দান–সহ নানাবিধ দানীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বিকেলে বিশ্ব শান্তি কামনায় মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
উলেখ্য, বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে–প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন নেপালের লুম্বিনী কাননে। এ রাতেই তিনি বোধিজ্ঞান লাভ করেছিলেন। এছাড়া গৌতম বুদ্ধ পরিনির্বাণ লাভ করেন এ রাতেই।