টেকসই ও নিরাপদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে

রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ২৩ মে, ২০২৪ at ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্য হোন পেনি ওং। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প৮ ওয়েস্টে আসেন তিনি। এ সময় ওয়াচ টাওয়ার থেকে ক্যাম্পের দৃশ্য অবলোকন করেন। রোহিঙ্গা নারীরা তার কাছে আশ্রয় শিবিরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, পানীয় জলের সংকট, নারীশিশুদের দুর্ভোগ, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে চলমান সংঘাতলড়াই এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের নানা দিক তুলে ধরেন।

এ সময় পেনি ওং উপস্থিত রোহিঙ্গার উদ্দেশে বলেন, টেকসই ও নিরাপদ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা কার্যক্রমে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতাও অব্যাহত রাখা হবে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে কাজে লাগানো হচ্ছে, তা দেখতেই পেনি ওং এখানে এসেছেন। উখিয়ার কয়েকটি আশ্রয় শিবির ঘুরে দেখেছেন তিনি।

প্রথমে বালুখালী আশ্রয় শিবিরের (ক্যাম্প৮ ডব্লিউ) একটি উঁচু জায়গায় নির্মিত পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে পুরো শরণার্থী শিবির দেখেন পেনি ওং। এ সময় অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার এ এস এম ওবায়দুল্লাহ। তিনি আশ্রয় শিবিরে সরকারি ব্যবস্থাপনা, শিক্ষাস্বাস্থ্যসহ রোহিঙ্গা পরিস্থিতি তুলে ধরেন। এরপর ওই আশ্রয় শিবিরে ইউএনএইচসিআর কর্তৃক পরিচালিত কয়েকটি সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি। শেষে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী যান পাশের বালুখালী আশ্রয় শিবিরে। পাশাপাশি তিনি জাতিসংঘের আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা কালচারাল মেমোরি সেন্টার, হাতিরডেবা আশ্রয় শিবিরের হেলথপোস্ট, হাকিমপাড়া আশ্রয় শিবিরের ইউনিসেফব্র্যাক পরিচালিত লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেন। কালচারাল সেন্টারে কয়েকজন রোহিঙ্গা শিল্পী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওংকে তাদের আঞ্চলিক ভাষার গান শোনান। এ সময় তিনি রোহিঙ্গা নারীদের তৈরি হস্ত ও কুটির শিল্প দেখেন। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ঢাকায় ফিরে যান অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস ঐতিহ্য বেশ সমৃদ্ধ
পরবর্তী নিবন্ধগৃহকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়াসহ ৭ দফা