তবুও মার্কেট রেস্টুরেন্টে আলোকসজ্জা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ জুলাই, ২০২২ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধের বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কড়া হুঁশিয়ারির পরেও নগরীর বেশিরভাগ মার্কেট রাত ৮টার পরেও খোলা ছিল। এমনকি আলোকসজ্জা ছিল অনেক মার্কেট-রেস্টুরেন্টে। গতকাল সোমবার সরেজমিনে নগরীর টেরিবাজার, নিউমার্কেট, জহুর হকার্স মার্কেট ও রেয়াজুদ্দিন বাজারে এ চিত্র দেখা গেছে। এর আগে গতকাল দপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, রাত ৮টা থেকে কোনোরকম দোকানপাট, শপিংমল, আলোকসজ্জা বন্ধ থাকবে। যদি কেউ অমান্য করে তাদের বিদ্যুতের লাইন আমরা বিচ্ছিন্ন করে দেব।

জহুর হকার্স মার্কেটের ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধের বিষয়ে আমরা নতুন কোনো নির্দেশনা পাইনি। তবে ফেসবুকে দেখেছি, আগামীকাল (আজ) থেকে মার্কেট ৮টার পর বন্ধ থাকবে। এখন একেকজন একেক কথা বলছেন, তাই বিষষয়টি নিশ্চিত না হওয়ায় দোকান বন্ধ করিনি। তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমরা ব্যবসায়ীদের রাত ৮টার পর মার্কেট বন্ধ রাখার জন্য বলেছিলাম। সেই মতে অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ করেছে। সরকারি নির্দেশনাকে আমরা অবশ্যই সাধুবাদ জানাই।

টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান দৈনিক আজাদীকে বলেন, দুপুরে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়ে কথা মার্কেট বন্ধ রাখার বিষয়ে কথা বলেছে শুনেছি। তবে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে রাত ৮টার পর অনেকে দোকান বন্ধ করেনি।

এদিকে গতকাল চকবাজার এলাকার কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা না মেনে পুরো রেস্টুরেন্টে আলোকসজ্জা করে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুটুমবাড়ি রেস্টুরেন্টের স্বত্বাধিকারী আশরাফুল হাসান রাকিব বলেন, আলোকসজ্জার না করার ব্যাপারে সরকারি নির্দেশনার বিষয়টি আমি জানতাম না। আগামীকাল (আজ) থেকে আলোকসজ্জা বন্ধ করে দিবো।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিক স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধিজনিত বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই চিঠিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ শ্রম আইন, ২০০৬-এর ১১৪ ধারার বিধান কঠোরভাবে পালনের জন্য সারা দেশে রাত ৮টার পর দোকান, শপিংমল, মার্কেট, বিপণিবিতান, কাঁচাবাজার খোলা না রাখার বিষয়টি যথাযথভাবে নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। তবে পরবর্তীতে ঈদুল আযহা উপলক্ষে গত ১ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত মার্কেট ও দোকানপাট রাত ১০ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি দেয় সরকার।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসাতকানিয়ায় নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধনামজারি আবেদন কাগজপত্রের ঘাটতিতে বাতিল করা যাবে না