জি-২০ থেকে রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার ইচ্ছা পশ্চিমাদের

যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন পুতিন

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ২৪ মার্চ, ২০২২ at ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ইউক্রেনে হামলা চালানো রাশিয়াকে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির ২০টি দেশের জোট জি-২০তে রাখা উচিত কিনা যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের পশ্চিমা মিত্ররা তা পর্যালোচনা করে দেখছে। পশ্চিমারা চাইলেও রাশিয়াকে বাদ দেওয়ার এ চেষ্টায় চীন, ভারত, সৌদি আরবসহ জোটের একাধিক সদস্য ভেটো দেবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে চলতি বছরের জি-২০ বৈঠকগুলোতে অনেক দেশের প্রতিনিধিদের অনুপস্থিতির শঙ্কা বাড়ছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন চলতি বছর ইন্দোনেশিয়ায় হতে যাওয়া জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে চান বলে জাকার্তায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। কিছু সদস্য দেশ রাশিয়াকে জি২০ থেকে বাদ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর তা অগ্রাহ্য করে রুশ রাষ্ট্রদূত এ কথা জানিয়েছেন। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে লুদমিলা ভেরোবিভা বলেন, শুধু জি২০ না, অনেক সংস্থাই রাশিয়াকে বহিষ্কার করার চেষ্টা করছে। পশ্চিমের এই প্রতিক্রিয়া পুরোপুরি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। খবর বিডিনিউজের।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির ১৯টি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নিয়ে জি২০ গঠিত। ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়াকে বিশ্ব অর্থনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার লক্ষ্যে এরই মধ্যে দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে মস্কোকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বার্তা পাঠানোর সুপরিচিত নেটওয়ার্ক সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া, রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেনে বিধিনিষেধ আরোপের মতো ব্যবস্থাও। রাশিয়া জি-২০ এর অংশীদার থাকার উপযুক্ত কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। রাশিয়া যদি সদস্য থাকে, তাহলে এটি দিন দিন কম দরকারি একটি সংগঠনে পরিণত হবে। রয়টার্সকে বলেছে শিল্পোন্নত ৭ দেশের জোট জি-৭ এর উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র। চলতি সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রাসেলসে মিত্রদের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়াকে জি-২০ থেকে বের করে দেওয়ার জন্য চাপ দেবেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেইক সুলিভান হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আন্তর্জাতিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের সঙ্গে রাশিয়ার ব্যবসা স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে না। তবে এ ধরনের কোনো ঘোষণার আগে মিত্রদের সঙ্গে আলোচনার পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের আছে, বলেছেন তিনি।
জি২০-র আসন্ন বৈঠকগুলোতে রাশিয়ার থাকা না থাকা নিয়ে আলোচনা চলছে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি সূত্রও পৃথকভাবে জানিয়েছে। জি-২০ এর সভাপতির পদে ঘুরে ঘুরে একটির পর একটি দেশ আসে, এখন এ পদে আছে ইন্দোনেশিয়া। তবে জি-২০’র বৈঠকগুলো থেকে সদস্য দেশগুলোর কাউকে বাদ দেওয়ার কোনো পদ্ধতি নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅস্তিত্বের হুমকিতে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে রাশিয়া
পরবর্তী নিবন্ধদ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি