জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নতুন মিশনে টাইগাররা

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৭ জুলাই, ২০২১ at ৫:১৮ পূর্বাহ্ণ

গত ১৬ মাস টেস্ট ক্রিকেট জিততে পারেনি বাংলাদেশ। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং সর্বশেষ শ্রীলংকার বিপক্ষে হেরেছে সবকটি টেস্ট ম্যাচ। ১৬ মাস আগে যে দলটিকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ সেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ আবার মাঠে নামছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের মাটিতে দীর্ঘ ৮ বছর পর আবার টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
তাই সবদিক বিবেচনায় এই টেস্ট বাংলাদেশ দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু সিরিজটি এক টেস্টের তাই এই টেস্টে জয়ের কোন বিকল্প নেই বাংলাদেশ দলের। হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে ম্যাচটি শুরু হবে আজ দুপুর দেড়টায়। কারণ সিরিজ জিততে হলে এই টেস্টে জিততেই হবে। সবশেষ দুটি সিরিজে দেশের মাটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হোয়াইট ওয়াশ এবং শ্রীলংকার কাছে তাদের মাটিতে দুই টেস্টের সিরিজটি ১-০ ব্যবধানে হেরে এসেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ দিন জয় বঞ্চিত থাকা বাংলাদেশ তাই এই টেস্টে জয় দিয়ে ফিরতে চায়। নতুন ব্যাটিং এবং স্পিন বোলিং কোচের অধীনে এ যেন নতুন সফর বাংলাদেশ দলের জন্য। যদিও একমাত্র টেস্টের সিরিজে তামিমকে পাওয়া নিয়ে এখনো শংকা রয়ে গেছে। তবে টিম ম্যানেজম্যান্ট জানিয়েছে এই ওপেনারের জন্য খেলা শুরুর আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তারা। তারপরও দেখার বিষয় তামিম খেলতে পারেন কিনা।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এই সিরিজের দলে মাত্র চারজন ক্রিকেটারের জিম্বাবুয়েতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারা হলেন সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ এবং মুশফিকুর রহিম। বাকি সবাই প্রথমবারের মত জিম্বাবুয়ের মাটিতে খেলতে গেছে। তাছাড়া জিম্বাবুয়েতে স্পিনারদের তুলনায় পেসাররা বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। যদিও বাংলাদেশ দল স্পিন দিয়েই প্রতিপক্ষকে বধ করার চেষ্টা করে। তবে এই ম্যাচে তাসকিন, এবাদত, রাহি এবং শরীফুলদের বড় দায়িত্বটা পালন করতে হবে। যদিও দু’দলের পরিসংখ্যানে জয় পরাজয় সমানে সমান। ১৭ ম্যাচে দু’দল মুখোমুখি হয়েছে। তাতে জিম্বাবুয়ে এবং বাংলাদেশ দু’দলেরই জয় ৭টি করে। ৩টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। এই ম্যাচে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তামিম খেলতে না পারলে সাকিব, মুশফিক, সাইফ, শান্ত, লিটন, মোমিনুলদের হাল ধরতে হবে ব্যাটিংয়ে। যদিও আগের সিরিজে শ্রীলংকার বিপক্ষে দারুন ব্যাটিং করেছিলেন শান্ত, মোমিনুল এবং মুশফিক। এখন জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একই পারফরম্যান্স আশা করছে দলেল ব্যাটসম্যানদের কাছে। বিশেষ করে যারা সিনিয়র রয়েছে তাদের উপর দায়িত্বটা একটু বেশি বর্তাবে। অপরদিকে জিম্বাবুয়েল আগের সেই শক্তি না থাকলেও নিজেদের মাটিতে তারা বেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। যদিও সবশেষ সিরিজে পাকিস্তানের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। দুটি টেস্টেই হেরেছে তারা আড়াই দিনে। তবে এটা ভিন্ন সিরিজ। আর প্রতিপক্ষও ভিন্ন। তাই জিম্বাবুয়েও চাইবে আগের সিরিজের দুঃসহ স্মৃতি পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যেতে। স্বাগতিকদের সে চাওয়াতে কতটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ সেটাই দেখার অপেক্ষা এখন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসড়কে বেড়েছে মানুষ, গাড়ি
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের বদলি আদেশ বাতিল হচ্ছে