ঘুরে দাঁড়াতে চায় আবাসন খাত

বাজেট ভাবনা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

মহামারী করোনার প্রভাব পড়েছে আবাসন খাতেও। মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর অন্যতম এ খাত জিইয়ে রাখতে জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের জন্য সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন এ শিল্পে জড়িতরা। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ১৩.২ শতাংশ বেশি। আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট দেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। বিগত সব বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস বাদেও বৈদেশিক অর্থ সংস্থানের মাধ্যমে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়। অপ্রদর্শিত আয়, ফ্ল্যাটের নিবন্ধন ফি কমানো, তহবিল গঠনসহ শুধু পলিসিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া গেলে আবাসন খাত সমৃদ্ধ হবে, পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ও বাড়বে বলে দাবি এ খাতে জড়িতদের।
আবাসন খাত দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অগ্রসর খাত। জিডিপিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ১২ শতাংশ অবদান রাখছে এই খাত। আবাসন খাতকে ঘিরে তৈরি হয়েছে অসংখ্য সহায়ক শিল্প। হিসেব অনুযায়ী ২৬০টির মতো সহায়ক খাত জড়িয়ে আছে আবাসন শিল্পের সাথে। তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে আবাসন ও নির্মাণ খাতের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় ইস্পাত কারখানা ও সিমেন্ট কারখানার উৎপাদনও কমেছে।
আবাসন খাত সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দেশে প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজার ইউনিট ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু নিবন্ধন ফি বেশি থাকায় ফ্ল্যাট কিনে মূল্য পরিশোধ করেও অনেকে নিবন্ধন করছেন না। আবার যে মূল্যে ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন, অনেকে তার কম মূল্য দেখিয়ে ফ্ল্যাট নিবন্ধন করছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাছাড়া অপ্রদর্শিত অর্থ আবাসন শিল্পে বিনিয়োগের সুবিধা থাকলে বিদেশে অর্থ পাচার রোধ হবে। এতে নতুন নতুন ফ্ল্যাট বিক্রি বাড়লে নিবন্ধন ফি ও ভ্যাট হিসেবে সরকার বড় অংকের রাজস্ব আদায় করতে পারবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবাসন শিল্পে শুধু ফ্ল্যাট তৈরি হয়, তা নয়। এ শিল্পকে ঘিরে ঘরে ওঠা অন্যান্য শিল্পেও অনেক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে আবাসন খাতে স্থবিরতা আসলে সহায়ক সব শিল্পে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবাসন এগিয়ে গেলে সহায়ক শিল্প কারখানাগুলোও এগিয়ে যাবে। মানুষের নতুন নতুন কর্মসংস্থান হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ সুবিধা দেওয়া উচিত
পরবর্তী নিবন্ধকচ্ছপকে খাবার দিতে গিয়ে নিজেই হলো খাবার