খাদ্যের অপচয় যেন না হয় : প্রধানমন্ত্রী

দেশ বিক্রি করে ক্ষমতায় আসব না

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে একদিকে খাদ্যাভাব আর অন্যদিকে খাদ্যের অপচয়ের দিকটি তুলে ধরে অতিরিক্ত খাদ্যের পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০২১ এর সরকারি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন তিনি। এছাড়া গ্যাস বিক্রির মুচলেকা না দেওয়ায় ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ বেচে তো আমি ক্ষমতায় আসব না। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে সবাইকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের খাদ্যের অপচয়টা কমাতে হবে। অপচয় যেন না হয়। সারা বিশ্বে কিন্তু একদিকে খাদ্যাভাব, অপরদিকে প্রচুর খাদ্য অপচয় হয়। এই অপচয় যেন না হয়। বরং যে খাদ্যগুলো অতিরিক্ত থাকে, সেটাকে আবার ব্যবহার করা যায় কীভাবে, সেই বিষয়টা আমাদের চিন্তা করতে হবে। সেই ধরনের ব্যবস্থাও আমাদের নিতে হবে। উদ্বৃত্ত খাদ্য পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে অন্য কোনো চাহিদা পূরণ করা যায় কিনা, সেদিকে দৃষ্টি দিতে গবেষকদের পরামর্শ দেন তিনি। করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে মানুষের খাদ্য চাহিদা নিশ্চিতে দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে, সেই নির্দেশনা দেওয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন খাদ্যের অভাব। অনেক দেশ দুর্ভিক্ষ অবস্থার দিকে চলে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে জাতির পিতার ভাষায় বলতে হয় যে বাংলাদেশের মাটি আছে, মানুষ আছে। আমরা যেন কখনো খাদ্যের অভাবে আর না ভুগি।
শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, আর্থিক সংস্থানের ব্যবস্থা বাড়াতে হবে এই কারণে যাতে সে নিজের খাবারটা নিজে কিনতে পারে, খেতে পারে। সেই ব্যবস্থাই আমরা করে দিচ্ছি।
আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বে ৯৪তম হলেও খাদ্য উৎপাদনে একাদশ স্থানে থাকার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমাদের ভূমি ব্যবস্থাপনা করা শুরু করেছি। সেখানে ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মৌজা ও প্লটভিত্তিক জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিংয়ের কাজও চলমান রয়েছে। কাজেই কৃষি জমি যেন কোনোমতেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। উন্নয়ন আমরা করে যাব, কিন্তু সেই উন্নয়নটা আমাদের কৃষি জমি সংরক্ষণ করেই করতে হবে।
কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন ধান উৎপাদনে তৃতীয়, শাকসবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চা উৎপাদনে চতুর্থ, আম ও আলু উৎপাদনে সপ্তম এবং পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম। অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং ইলিশ মাছ উৎপাদনে প্রথম স্থান অর্জন করতে সক্ষম করেছি।
কৃষকের জন্য কৃষি বাতায়ন, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা, কৃষকের জানালা, কৃষি কল সেন্টার খোলার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। কৃষিতে ভর্তুকি দেওয়ার বিষয়ে এক সময় অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘বাধা’ দিলেও তাদের কথা না শোনার কথা বলেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রথম দিন ১১৬৮ জন পেলেন ফাইজারের টিকা
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬