প্রথম দিন ১১৬৮ জন পেলেন ফাইজারের টিকা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ১৭ অক্টোবর, ২০২১ at ১০:১১ পূর্বাহ্ণ

অবশেষে ফাইজারের টিকাদান শুরু হয়েছে চট্টগ্রামে। গতকাল শনিবার থেকে নগরীর দুটি কেন্দ্রে এই টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। এই দুই কেন্দ্রের একটি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং অপরটি বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্র। প্রথম দিন (গতকাল) নগরের কেন্দ্র দুটিতে মোট ১ হাজার ১৬৮ জন প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের এই টিকা পেয়েছেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ৭৬৬ জন এবং বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে ৪০২ জনকে এই টিকা দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
দুপুর ২টার পর টিকাদান শুরু হয় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে। টিকা প্রত্যাশীরা যথারীতি হাসপাতালের বাইরে লাইনে দাঁড়ান। কিন্তু বিকেলে হঠাৎ বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে টিকা নিতে আসা নারী-পুরুষদের। পরে সবাইকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকিয়ে ফেলা হয় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তানজিমুল ইসলাম। তিনি বলেন, হঠাৎ বৃষ্টি চলে আসায় লাইনে দাঁড়ানো নারী-পুরুষ কষ্টে পড়ে যান। অবস্থা দেখে তাদের সবাইকে হাসপাতালের ভিতরে ঢুকানোর ব্যবস্থা করি আমরা। ওই সময়ে টিকাদানে একটু সমস্যা হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। প্রথম দিন ৭৬৬ জনকে ফাইজারের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট দিনের এসএমএস ছাড়া কাউকে এ (ফাইজারের) টিকা দেয়া হয়নি।
এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতে ফাইজারের ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছে। ফাইজারের টিকা কেবল দুটি কেন্দ্রে প্রয়োগ করা হবে জানিয়ে এর আগে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেছিলেন, কেন্দ্র দুটি নিজেদের তত্ত্বাবধানে এই টিকা প্রয়োগ করবে। তবে যেদিন থেকে প্রথম ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে, সেদিন থেকে ওই দুটি কেন্দ্রে অন্য টিকার প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ থাকবে। এই দুটি কেন্দ্রে যারা আগে থেকে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন, তারাই এ টিকা পাবেন।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি আজাদীকে বলেন, যেখানে সেখানে এ টিকা প্রয়োগের সুযোগ নেই। শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) সুবিধা থাকা কক্ষে এ টিকা প্রয়োগ করতে হচ্ছে। এ ধরনের সুবিধা থাকা কয়েকটি কক্ষের চারটি বুথে আমরা ফাইজারের টিকা দিচ্ছি। তবে ফাইজারের টিকাদান শুরু হওয়ায় গতকাল থেকে সিনোফার্মের প্রথম ডোজ বন্ধ থাকছে। যদিও দ্বিতীয় ডোজ চলমান রয়েছে। যথারীতি দুপুর ২টার পরই এ টিকা দেয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এতদিন অঙফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকা, সিনোফার্ম ও মর্ডানার টিকা পেলেও ফাইজারের টিকা পায়নি চট্টগ্রাম। ফ্রিজারসহ বিশেষ ব্যবস্থায় অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকাতেও এখন ফাইজারের টিকা দেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রাম নগরেও এই টিকার প্রয়োগ অবশেষ শুরু হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআত্মহত্যায় প্ররোচনা, স্বামী গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধখাদ্যের অপচয় যেন না হয় : প্রধানমন্ত্রী