আইওএমের কার্যকর ভূমিকা আশা করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও বৈশ্বিক অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা এবার বাংলাদেশে প্রতিবেদন প্রকাশ

| বুধবার , ৮ মে, ২০২৪ at ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন ২০২৪ প্রকাশ করেছে। ২০০০ সাল থেকে দ্বিবার্ষিকভাবে প্রকাশ হয়ে আসা এই আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবারই প্রথম তাদের সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জেনেভার বাইরে বাংলাদেশের রাজধানীতে প্রকাশিত হলো।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বনানীতে একটি হোটেলে আইওএমের মহাপরিচালক এমি পোপ ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্ট ২০২৪ আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিশ্ব অভিবাসন প্রতিবেদন প্রকাশে বাংলাদেশকে নির্বাচন করায় আইওএমকে ধন্যবাদ জানান তিনি। খবর বাসসের।

তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১৩ লাখ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তাদের নিজ দেশে দ্রুততম সময়ে প্রত্যাবাসন এক বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কঙবাজারে তাদের আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং জঙ্গিবাদের ব্রিডিং গ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার শুধু দেশের নয়, আন্তর্জাতিক সংকটে রূপ নিচ্ছে।

তিনি বাংলাদেশে আসা আইওএম মহাপরিচালককে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং এই সংকট নিরসনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি আইওএম বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউক্রেন যুদ্ধ ও গাজায় ইসরায়েলি হামলার কারণে উদ্বাস্তু হাজার হাজার মানুষের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তন মানুষের বাস্তুচ্যুত হওয়ার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে, যা আমলে নেওয়া ও সমাধানের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করা এখন সময়ের দাবি।

আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ প্রতিবেদনের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, বিশ্বে ২৮ কোটির বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের মধ্যে প্রায় ১২ কোটি ৭০ লাখ মানুষই যুদ্ধবিগ্রহসংঘাত ও নানা দুর্যোগের কারণে বাস্তুচ্যুত। এটি দুশ্চিন্তার বিষয়। অভিবাসনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির ধনাত্মক দিকের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০০০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স বা প্রবাসীদের প্রেরিত আয় ১২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬৫০ শতাংশ বেড়ে ৮৩১ বিলিয়ন হয়েছে। এই আয় বাংলাদেশসহ বহু দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির অন্যতম চালিকাশক্তি।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব সম্পর্কে এমি পোপ বলেন, ওয়ার্ল্ড মাইগ্রেশন রিপোর্টের প্রমাণভিত্তিক তথ্য ও বিশ্লেষণগুলো মানুষের গমনাগমনের অন্তর্নিহিত রহস্য বুঝতে সাহায্য করে, যা অনিশ্চিত বিশ্বে সিদ্ধান্ত এবং কার্যকর নীতি প্রণয়নে অত্যন্ত জরুরি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আইওএমের মহাপরিচালকের বৈঠক : এর পরপরই প্রকাশনা অনুষ্ঠানস্থলের পাশে পৃথক কক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন আইওএম মহাপরিচালক এমি পোপ। বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত করা ও বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি অভিবাসীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আইওএমের কার্যকর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন তারা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসব অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধের উদ্যোগ নেয়া হবে : তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধগাছ কাটা নিয়ন্ত্রণে কমিটি কেন নয় : হাই কোর্ট