কারাভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরেছেন ২৯ বাংলাদেশি

ফেরার অপেক্ষায় আরো ১৫০ জন

টেকনাফ প্রতিনিধি | বুধবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৩ at ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ

বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে ২৯ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার। মংডুতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে টেকনাফ ২ বিজিবি ও মিয়ানমার ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে তাদের হস্তান্তর করা হয়। ফেরত আসা বাংলাদেশিরা দুই থেকে সাড়ে ছয় বছর মিয়ানমার কারাগারে মানবেতর জীবনযাপন করেছেন বলে জানান তারা। তাদের মধ্যে টেকনাফের ৭ জন, উখিয়ার ৩ জন, মহেশখালীর ১২ জন, রাঙামাটির ৩ জন ও বান্দরবানের ৪ জন রয়েছেন। তাদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে টেকনাফ মডেল থানায় পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নাফ নদী, সাগরে মাছ শিকার এবং সাগরপথে মালয়েশিয়া যাত্রাকালে সেদেশের আইশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে তারা আটক হয়।

বিজিবি জানায়, মংডুতে সকাল ১১টায় টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল ও মিয়ানমার মংডুর ১ নম্বর বর্ডার গার্ড পুলিশ ব্রাঞ্চের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল ইয়ে ওয়াই শোএর নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধিদলের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সকালে বৈঠকে অংশ নিতে টেকনাফ বিজিবির বিওপির জেটি দিয়ে রওনা হয়েছিল বিজিবির প্রতিনিধি দল।

পরে দুপুরে জেটিঘাটে বিজিবি ২ টেকনাফ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দীন আহমেদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করা ২৯ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা মালয়েশিয়া ও সাগরে মাছ শিকারের সময় মিয়ানমারের হাতে আটক হয়েছিল। সাজাভোগ শেষে পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর দুই দেশের বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়। তিনি বলেন, মিয়ানমারের কারাগারে আরো ১৫০ বাংলাদেশি জেলে আটক রয়েছে। তাদেরও একই প্রক্রিয়ায় ফেরত আনার চেষ্টা চলছে। ২৯ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় পুলিশের মাধ্যমে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী, টেকনাফ২ বিজিবি উপ অধিনায়ক মেজর মাসুদ রানা ও পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনিজেকেও অপরাধী বললেন পুত্রবধূ
পরবর্তী নিবন্ধআলোর স্পন্দনের সন্ধান দিয়ে পদার্থবিদ্যায় নোবেল