করোনাকালীন বিশেষ টেকনিক্যাল পদ্ধতির ক্লাস চালু হোক

| শুক্রবার , ২৮ মে, ২০২১ at ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ

করোনা মহামারীর কারণে একদিকে দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ অন্য দিকে বাসা বাড়িতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভিডিও গেম, ইউ টিউব নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অভিভাবক মহলে উদ্বেগ উৎকণ্ঠার শেষ নেই। আগামী জুন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুর চিন্তা ভাবনা করা হলেও তা আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা বোধগম্য নয়। কারণ দেশের সব মানুষকে করোনা টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা অন্তত ২০২২ সালের ডিসেম্বরের আগে সম্ভব নয়। এ দীর্ঘ সময় বিদ্যালয় চালু না হওয়ার শিক্ষার্থীদের ওপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে তা থেকে উত্তরণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। আবার হঠাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হলে যে কোন সময় করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এ শিক্ষা পদ্ধতির আওতায় পাঠদান কার্যক্রম চালু হলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি হ্রাস পাবে। শিক্ষার্থীরাও সরাসরি ক্লাসে উপস্থিত হয়ে সরাসরি শিক্ষকের পাঠদান প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে উপকৃত হতে পারবে। এই পদ্ধতিতে ছুটির দিন ব্যতিরেকে সপ্তাহের সবগুলো দিন স্কুল খোলা থাকবে। তবে একটি নির্দিষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ১/২ দিন ক্লাসে পাঠলাভের সুযোগ পাবে। দূরত্ব বজায় রেখে এক চেয়ারে একজন শিক্ষার্থী বসতে পারবে। স্কুলের শিক্ষার্থী সংখ্যার আনুপাতিক হারে পুরো স্কুলের সবগুলো শ্রেণীকক্ষ ১ বা ২ টি শ্রেণীর শিক্ষার্থী দ্বারা পূর্ণ থাকবে। ধরুন একটি স্কুলে ১ম শ্রেণীর ১০০ জন শিক্ষার্থী থাকলে প্রতি ক্লাসে ২০ জন করে ৫ টি ক্লাসে তাদের আসন বিন্যাস করা সম্ভব। ২ বা ততোধিক শিক্ষক দ্বারা ৫টি ক্লাস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। এ প্রক্রিয়ায় ১টি স্কুলে ১০টি কক্ষ থাকলে ২০০ জন শিক্ষার্থীকে সপ্তাহে ১ দিন পাঠদান করা সম্ভব।একই হারে সপ্তাহের ৫ দিনে ১০০০ জন শিক্ষার্থীকে অন্তত ১ দিন পাঠদান সম্ভব। এ পদ্ধতির ক্লাসে সপ্তাহে ১/২ দিন ক্লাসে উপস্থিত হতে পারার কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের প্রতি আরো বেশি মনোযোগী হবে। পুরো সপ্তাহের পাঠ্যসূচি, বাড়ির কাজ ও ক্লাস পরীক্ষাসহ সাময়িক ও বার্ষিক পরীক্ষাসমূহ এ পদ্ধতির আওতায় আনা সম্ভব। ক্লাস শেষে শিক্ষার্থীরা যাতে অবাধে মেলামেশা করতে না পারে সে জন্য সিসি ক্যামেরা সাহায্যে বিশেষ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা থাকবে। মুখে মাস্ক পরা ও নিয়মিত হাত ধোয়ার ব্যবস্থা থাকবে। করোনা মহামারী রোধে সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে যদি এই বিশেষ ট্যাকনিক্যাল পদ্ধতির ক্লাস চালু হলে একদিকে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে, অন্যদিকে অভিভাবকরা শংকামুক্ত হতে পারবে।
শাহ নেওয়াজ, বন্দর, চট্টগ্রাম

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিল্পাচার্য জয়নুল : শিল্পের অনবদ্য স্রষ্টা
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের বিজয়ী হতেই হবে