প্রিমিয়ার ক্রিকেটে আবারো জয়ের ধারায় আবাহনী

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৯:১৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে আবারো জয়ের ধারায় ফিরে এসেছে শিরোপা প্রত্যাশী গতবারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। আগের ম্যাচে পাইরেট্‌স অব চিটাগাং এর কাছে হোচট খাওয়া আবাহনী গতকাল শনিবার ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে রাইজিং স্টার ক্লাবকে পরাজিত করে। এ জয়ে আবাহনী ৮ম রাউন্ডে নিজেদের খেলা শেষে আবারো শীর্ষে উঠে এলো। তারা ৮ খেলায় ২১ পয়েন্ট অর্জন করেছে। অন্যদিকে সমান খেলায় রাইজিং স্টার ক্লাব ১২ পয়েন্ট পেয়েছে। এ নিয়ে নিজেদের শেষ তিনটি খেলায় তারা টানা পরাজিত হয়েছে।

গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় টসে জিতে আবাহনী প্রথম ব্যাট করতে যায়। শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে চট্টগ্রাম আবাহনী। দুই উদ্বোধনী ব্যাটার তাজুল ইসলাম এবং সাইদুল ইসলাম অবিচ্ছিন্ন থেকে ১৪৯ রান তুলে দেন। এ সময় তাজুল সাজিবুল আলমের বলে নাজিমুলের হাতে ধরা পড়ে ফিরে যান। তার আগে ব্যক্তিগত ৮০ রান সংগ্রহ করেন তিনি ১০৫ বল খেলে। ৪টি চার এবং ৫টি ছক্কা হাঁকান এই উদ্বোধনী ব্যাটার। কিছু পরেই ফেরত যান অপর উদ্বোধনী ব্যাটার সাইদুল। সাইদুলও অর্ধশতক হাঁকান। তিনিও সাজিবুলের শিকার হন। ৬৮ বল খেলে ৫১ রান সংগ্রহ করেন সাইদুল ৩টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে। এরপর যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় টেস্ট দলের সাবেক অধিনায়ক মোমিনুল হক। গতকালই তিনি আবাহনীর পক্ষে এবার প্রথম খেলতে নামেন। আর প্রথম নেমেই তিনি অনবদ্য সেঞ্চুরিসমৃদ্ধ ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ভর করে আবাহনীর সংগ্রহ তিন শতের উপর চলে যায়। মাত্র ৬২ বলে ১১৬ রান করেন জাতীয় দলের এ ক্রিকেটার। ৮টি চার এবং ৭টি ছক্কা ছিল তার শতক ইনিংসে। তাকে যোগ্য সহায়তা দেন আজমুল হুদা আজাদ ১৯,অধিনায়ক আবু বক্কর জীবন ১৪ এবং মোহাম্মদ শোয়াইব অপরাজিত ৪৪ রান করে। ২৫ বলে করা শোয়াইবের এ ইনিংসে ছিল ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার। তবে এদিন সুবিধা করতে পারেননি আবাহনীর অপর জাতীয় তারকা মোসাদ্দেক সৈকত। তিনি মাত্র ১ রান করে রেজাউলের বলে এল বি হয়ে যান। অতিরিক্ত থেকে আসে ২৯ রান। আবাহনীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৫৮ রান।

রাইজিং স্টারের পক্ষে সাজিবুল আলম ৬৪ রানে ৩টি উইকেট দখল করে। ২টি উইকেট পান রেজাউল করিম রাজিব এবং ১টি উইকেট নেন নাইম চৌধুরী।

৩৫৯ রানের বড় লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হয়ে রাইজিং স্টার ৪৪.২ ওভারে ২৫২ রান তুলে থেমে যায়। দলীয় ৩০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গার পর অপর ওপেনার তারেক রহমান দলকে অনেকটা পথ এগিয়ে নেন আসাদুর রহমানের সহায়তায়। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তারা ৭৮ রান যোগ করেন। তারেক ৪৮ বলে ৮১ রান তুলে লেগ স্পিনার জীবনের বলে এলবি হয়ে যান। ১৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার ব্যাটার। আসাদুর রহমান এবং আফসারুল করিমের ৪র্থ উইকেট জুটি ৪৬ রান যোগ করে। দলীয় ১৫৬ রানে আফসারুল ২৫ রান করে মোসাদ্দেক সৈকতের শিকারে পরিণত হন। এরপর যোগ যেন রাইজিং অধিনায়ক রেজাউল করিম। ১৮০ রানের মাথায় আসাদুর আউট হন ব্যক্তিগত ৪৪ রানে। এ সময় দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন রেজাউল করিম। কিন্তু তার সহযোগীরা কিছু বিরতি দিয়ে দিয়েই বিদায় হতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত রেজাউল করিম ব্যক্তিগত ৬১ রানে আউট হয়ে গেলে সেখানেই থামে রাইজিং স্টারের ইনিংস। রেজাউল ৭৪ বলে ঐ ইনিংস খেলতে গিয়ে ৩টি চার এবং ৫টি ছক্কা মারেন। অন্যদের মধ্যে সাজিবুল ১২ এবং শাহরিয়ার শান্ত ১০ রান করেন। অতিরিক্ত থেকে যোগ হয় ১১ রান। আবাহনী অধিনায়ক আবু বক্কর জীবন তার লেগ স্পিনে ৩৪ রানে ৪টি উইকেট তুলে নেন। অফ স্পিনার হান্নান পান ৩২ রান দিয়ে ৩টি উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক সৈকত এবং আজমুল হুদা আজাদ।

আজকের খেলা : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি বনাম ব্রাদার্স ইউনিয়ন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রাম পর্বের ফাইনাল আজ
পরবর্তী নিবন্ধচিকনদন্ডী ইউপির চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আজ