পেকুয়ার লোকালয়ে দলছুট বন্য হাতি

দিনভর চেষ্টায়ও ফেরানো যায়নি বনে হতাহত নেই, পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি

চকরিয়া প্রতিনিধি | রবিবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ at ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে এসেছে দলছুট একটি বন্য হাতি। হাতিটি কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন স্থানে ধানক্ষেত মাড়িয়ে ব্যাপক ক্ষতি করে। একইসাথে বিভিন্ন বসতবাড়িতেও তাণ্ডব চালায় হাতিটি। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল শনিবার বিকেল অব্দি উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের অন্তত ছয়টি গ্রামে তাণ্ডব চালায় দলছুট এই বন্য হাতি।

এদিকে লোকালয়ে বনের হাতি চলে আসার খবর পেয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন বারবাকিয়া রেঞ্জ এবং টৈটং বনবিট কার্যালয়ের কর্মীরা দলছুট বন্য হাতিটির গতিবিধি পর্যবেক্ষণসহ হাতিটিকে বনের ভেতর ফিরিয়ে নেয়ার তৎপরতা চালায়। কিন্তু দিনভর চেষ্টার পরও হাতিটিকে বনে ফেরানো যায়নি। এতে টৈটং ইউনিয়নের ছয়টি গ্রামের মানুষ বন্য হাতি আতঙ্কে রয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার পর চারিদিক থেকে খবর আসে বনের হাতি লোকালয়ে চলে এসেছে। হাতিটি ইউনিয়নের চার নম্বর ওয়ার্ডের বটতলি, জুম পাড়া, মধুখালি হয়ে হাসানের জুম এলাকার একটি ঝিরিপথে রয়েছে। হাতিটি অন্তত ছয়টি গ্রামের বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে তাণ্ডব চালায়। এ সময় এসব এলাকার পাকা ধান ক্ষেতে হানা দিয়েও ব্যাপক ক্ষতি করে। এই অবস্থায় এসব গ্রামের মানুষের মাঝে হাতি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। উৎসুক মানুষও এই দলছুট হাতির পিছু নেওয়ায় হাতিটিকে বনে ফেরাতে বেগ পেতে হচ্ছে বন বিভাগকে।

বারবাকিয়া রেঞ্জাধীন টৈটং বনবিট কর্মকর্তা জমির উদ্দিন বলেন, হাতিটিকে গহীন বনে ফেরাতে বনবিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন। তবে দিনভর চেষ্টায়ও হাতিটিকে বনে ফেরানো যায়নি। তাই হাতিটি যাতে মানুষের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য গতিবিধি নজরে রেখেছে বনবিভাগ।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, হাতিটি এখনো পর্যন্ত (শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা) লোকালয়ে অবস্থান করায় বনবিভাগ এবং ইআরটি (এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম) দ্বারা সতর্ক অবস্থান নেওয়া হয়েছে। উৎসুক মানুষ যাতে হাতির কাছে ভিড়তে এবং তাকে উত্যক্ত করতে না পারে সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো মানুষ হাতি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। অবশ্য বেশকিছু বসতবাড়ি এবং পাকা ধানক্ষেত নষ্ট করার তথ্য রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকালুরঘাট সেতু নির্মাণে ঋণ চুক্তি জুনে
পরবর্তী নিবন্ধঅনলাইন জুয়ায় আসক্ত যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার