আ.লীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে লিপ্ত একটি মহল

বাবুলের জানাজায় নওফেল

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১৪ জানুয়ারি, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর আগ্রাবাদ সরকারী কমার্স কলেজের সামনে সড়কে নিহত আজগর আলী বাবুলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরীসহ মহানগর আওয়ামী লীগের সামনের সারির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল কমার্স কলেজের সামনে পৌঁছান। এসময় তিনি মরদেহের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ও নিহতের দুই ছেলেকে সান্ত্বনা দেন। নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে একটা মহল চক্রান্ত করছে। সেই চক্রান্তের অংশ হিসেবে আমাদের একজন প্রার্থীর সক্রিয় সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এর সাথে যারা জড়িত ও পর্দার আড়াল থেকে যারা উসকানি দিয়েছে সবাইকে আইনের আওতায় আনতে হবে। যারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ইন্ধন দিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তাদের দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে।
নওফেল স্থান ত্যাগ করার সময় ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপ কুমার দাশ তাঁর তোপের মুখে পড়েন। ক্ষুব্ধ নওফেল ওসিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এই এলাকায় বার বার সংঘাতের সৃষ্টি হচ্ছে। একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বার বার অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করছে। তাদের বিরুদ্ধে আপনারা (পুলিশ) কী করেছেন ? বার বার অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ায় তারা খুনের সাহস দেখিয়েছে। যে অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে, সেটি এখনও উদ্ধার হল না কেন, আমি জানতে চাই।
জানাজা শুরুর আগে বাবুলের ছেলে সেজান মোহাম্মদ সেতু তার বক্তব্যে বলেন, আমার বাবাকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। মাছ কাদের, রিপন, হেলালসহ অনেক সন্ত্রাসী এঘটনায় জড়িত।
জানাজায় অংশ নেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ ও শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর, নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাসান মুরাদ, আসিফ খান, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান, নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি লুৎফুল এহসান শাহ।
জানাজা শেষে রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। সন্ত্রাসী মানে সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু। যথাযথ আইনের আওতায় এনে বাবুলের খুনিদের শাস্তির বিধান করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাঁচ প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্ত টিম
পরবর্তী নিবন্ধরাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়ক বন্ধ থাকবে ১৪ দিন