স্বল্পমূল্যে প্লট দেয়ার কথা বলে ৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া আবাসন ব্যবসায়ী ইমাম হোসেন নাসিম অবশেষে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এর হাতে ধরা পড়েছেন। গোপন সুড়ঙ্গে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হল না তার। গত বুধবার দিবাগত রাতে রাজধানীর রূপনগর আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৫ মামলার পলাতক আসামি নাসিমকে তৃতীয় স্ত্রীসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ৭.৬৫ এমএম বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ জাল এক লাখ ৩৫ হাজার টাকা, ১৪শ পিস ইয়াবা, দুই বোতল বিদেশি মদ, চারটি ওয়াকিটকি সেট, ছয়টি পাসপোর্ট, ৩৭টি ব্যাংক চেক এবং ৩২টি সিম কার্ড জব্দ করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব–৪ এর অধিনায়ক (সিও) পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি বলেন, ‘স্বল্পমূল্যে জমি পাওয়া যাচ্ছে– সাইনবোর্ডে এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন নাসিম। কিন্তু তার দেখানো জমিগুলো ছিল খাস, দখল করা কিংবা পানি ভরা। এছাড়া স্বল্পমূল্যে প্লট পাওয়ার কথা বলে, প্লটপ্রতি পাঁচ লাখ টাকা করে নিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার চুক্তি করেছিলেন। রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়ার কথা বলে আরও সাড়ে ১২ লাখ থেকে ২০ লাখ টাকা করে একেকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নেন তারা। সব মিলিয়ে এভাবে ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইমাম হোসেন নাসিম। তিনি ৫৫টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার এড়াতে আন্ডারগ্রাউন্ডে তার গোপন সুড়ঙ্গে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সম্বলিত দরজাযুক্ত গোপন অফিসে আত্বগোপনে থাকতেন। নাসিমের অনুপস্থিতিতে তার তৃতীয় স্ত্রী হালিমা আক্তার প্রতারণার ব্যবসা দেখাশোনা করতেন।’ র্যাব–৪ এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার নাসিম ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ প্রতারণার চারটি মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রতারিত ভুক্তভোগীরা র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। যারা মামলা করতে ইচ্ছুক র্যাব–৪ তাদের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দিচ্ছে।’