হাসিনার বিরুদ্ধে মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

| বৃহস্পতিবার , ২১ আগস্ট, ২০২৫ at ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গতকাল বুধবার পর্যন্ত ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়েছে। গতকাল বুধবার এই মামলায় ৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১ এ আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে। এর আগে ৫ দিনে এই মামলায় ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। খবর বাসসের।

ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এসএইচ তামিম শুনানি করেন। এসময় অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এই মামলায় পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন। আর এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পরে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল১। একপর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্‌ঘাটনে (অ্যাপ্রোভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আলমামুনের আবেদন মঞ্জুর করেন ট্র্যাইব্যুনাল।

এই মামলাটি ছাড়াও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আরো দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে গুমখুনের ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হয়েছে রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

গত বছরের জুলাইআগস্টে ছাত্রজনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, এর দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে একের পর এক অভিযোগ জমা পড়ে। দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এসব অপরাধের বিচার কাজ চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধখাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফের আস্তানায় অভিযান, নগদ টাকা ও লাল পাসপোর্ট উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধ১৬৭ জনের বেশির ভাগের মাথার খুলি ছিল না