সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে কলকাতার একটি পার্কে দেখার খবর নিয়ে শোরগোল উঠলেও তার বৈধভাবে দেশ ছাড়ার কোনো তথ্য পুলিশের হাতে নেই। পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত আইজি (চলতি দায়িত্বে) শাহ আলম গতকাল বুধবার বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যাদের কথা জানা যাচ্ছে, তারা বৈধভাবে যাননি এটা নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে। খবর বিডিনিউজের।
জুলাই আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে ঘটে যাওয়া হত্যার ঘটনায় যে সব মামলা দায়ের হয়েছে, তার অনেকগুলোতে আসাদুজ্জামান খান কামালও আসামি। সাবেক সরকারের যেসব মন্ত্রী–এমপিদের খোঁজ মিলছে না তাদের মধ্যে একজন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার ইকোপার্কে আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক এমপি অসীম কুমার উকিল, তার স্ত্রী অপু উকিলসহ কয়েকজনকে দেখা গেছে বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় হইচই তৈরি হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে পুলিশ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, ওই খবর তিনিও শুনেছেন। এ বিষয়ে খোঁজখবর করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন পার হলে আমাদের কাছে প্রমাণ থাকবেই। তাদের ক্ষেত্রে কোনো প্রমাণ নেই।
অন্য যারা গেছেন তাদের ব্যাপারেও কোনো তথ্য নেই জানিয়ে অতিরিক্ত আইজি শাহ আলম বলেন, অনেকেই অবৈধভাবে গেছেন। কেউ দেশে আছেন। অনেককেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তারও করছে।
শেখ হাসিনার সরকার পতনের পরপরই অনেকে বৈধভাবেও দেশ পার হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহ আলম। তিনি বলন, ৬–৭ আগস্ট কয়েকজন গেছেন। মূলত সে সময় কোনো নির্দেশনা ছিল না। এদের মধ্যে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহহার আকন্দ রয়েছেন।
কাওরানবাজারে র্যাবের সংবাদ সম্মেলনেও আসাদুজ্জামান খান কামালের কলকাতায় অবস্থানের বিষয়টি নজরে আনা হয়। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেশের বাইরে যাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।