শিক্ষক সমিতির উদ্দেশ্য ভিন্ন : চবি উপাচার্য

| সোমবার , ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ at ৬:৩৩ পূর্বাহ্ণ

চবি প্রতিনিধি 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতির দাবি করার পরও ভিন্ন উদ্দেশ্যে আন্দোলন করছে বলে দাবি করেছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

গতকাল রোববার শিক্ষক সমিতির চলমান আন্দোলন ইস্যুতে এসব কথা বলেন আজাদীকে। এছাড়া এদিন উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষক সমিতি। উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষক সমিতির দাবি ছিল নতুন বাস দিতে হবে। আমি কয়েকদিন আগেই কয়েকটি বাস ও মাইক্রোবাস যুক্ত করেছি। শিক্ষকদের পারিতোষিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির ব্যবস্থা নিয়েছি। ঢাকার গেস্ট হাউজে নতুন ফ্ল্যাট কিনেছি। মাসে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা করে সিনিয়র শিক্ষকদের টেলিফোন বিল প্রদান করেছি। চট্টগ্রামে শিক্ষককর্মকর্তাদের জন্য ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। এ জন্য ফ্ল্যাট অথবা ভবন ক্রয়ে কমিটি করে দিয়েছি। এরকম প্রায় দাবি পূরণ করেছি। শিক্ষক সমিতি বাংলা ও আইন বিভাগের নিয়োগ স্থগিত চেয়ে আন্দোলন শুরু করে। আমি যখন এগুলো সমাধান করতে গেলাম, তারা পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন শুরু করলো। তাদের উদ্দেশ্য যদি দাবি আদায় হয়, তাহলে তাদেরতো আলোচনায় বসে সমাধান করতে হবে। আমার দরজা খোলা। আমি যেকোনো সময় আলোচনায় বসে সকল দাবি পূরণের মানসিকতা রাখি। এটা অতীতেও আমি করেছি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে শিক্ষক সমিতির ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে।

উপাচার্য বলেন, আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতিকে বারবার কল করেই যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরও তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এর আগে দুই জন সিনিয়র প্রফেসর গেছেন ওনাদের কাছে। ওনারা আসছেন না। ওনাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাংলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগ আমি স্থগিত রেখেছি। আইন অনুষদের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাথে আলোচনা করে আমি সমাধান করতে চাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে। ওনাদের আলোচনায় বসা উচিত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅপরিকল্পিতভাবে বাঁধ কাটায় বিপর্যয়
পরবর্তী নিবন্ধচবি প্রশাসনের ‘অনিয়মে’ সরকারের হস্তক্ষেপ চায় শিক্ষক সমিতি