রাঙামাটিতে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

রাঙামাটি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৯ মে, ২০২৪ at ৮:২৭ পূর্বাহ্ণ

রাঙামাটিতে ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় এক আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রাঙামাটির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ ই এম ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. মোজাম্মেল হক (৪০) সাতকানিয়া উপজেলার মনেয়াবাদ গ্রামের মৃত আতাউল হকের ছেলে। তবে সে রাঙামাটি জেলা শহরের রিজার্ভ বাজার পুরানবস্তি এলাকায় ভাড়ায় বাসায় থাকতেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২১ মার্চ দুপুরে আসামি মো. মোজাম্মেল হকের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিমকে পেঁয়াজ কেটে দেওয়ার জন্য তার ঘরে ডেকে নেয়। পরে ভিকটিমকে ঘরে প্রবেশ করিয়ে আসামি জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

ভিকটিমের মা মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে আসামির ঘরে এসে দরজা খুলতে বলে। পরে আসামি কোনো সাড়া না দিলে আশেপাশে প্রতিবেশিরা এসে ভিকটিমকে উদ্ধার ও আসামিকে আটক করে রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ৯ () ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ছাড়াও শিশুটির পরিবারকে ৯০ দিনের মধ্যে ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে আদেশ দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে আসামির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে জেলাপ্রশাসককে নির্দেশ দেয়া হয়। রাঙামাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, ‘আদালতে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারী জনিত অপরাধ কমে আসবে বলে মনে করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধগিয়েছিলেন মহিষ দেখতে প্রাণ হারালেন বজ্রপাতে
পরবর্তী নিবন্ধমুক্তিযুদ্ধ ও বাংলা চলচ্চিত্রে নায়ক ফারুকের অবদান স্মরণীয়