সাতকানিয়া থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ কোটি টাকা মূল্যের ক্রিস্টাল মেথ মাদক সহ ২ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। আটককৃতদের নাম ফয়সাল আহমদ(২৯) ও রোহিঙ্গা যুবক জাহিদ আলম(২০)। তারা উভয়ই পিকআপ চালক ও হেলপার।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাট এলাকায় পুলিশ এ অভিযান চালায়।
আজ শুক্রবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে জাকারিয়া রহমান জিকু জানান, বিপুল পরিমাণ ভয়ংকর মাদক ক্রিস্টাল মেথ পাচারের সংবাদ গোপন সূত্রে পেয়ে সাতকানিয়া থানার একদল পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের কেরানীহাটের উত্তরে তেমুহনী নেজাম উদ্দিন এলপিজি গ্যাস পাম্পের সামনে অবস্থান নেয়।
এসময় মহাসড়কে অস্থায়ী চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি চালানো হয়। এক পর্যায়ে রাত ২টার দিকে একটি মিনি ট্রাককে (নং- ঢাকা মেট্রো-ড-১১-৯৩৪২) সিগন্যাল দিয়ে থামানো হয়।
তখন গাড়ির চালক ও হেলপার পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃতরা হলো টেকনাফের বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকার গুরা মিয়ার পুত্র মিনি ট্রাক চালক ফয়সাল আহমেদ ও উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-৭ এর আনজুর হোসেনের পুত্র হেলপার জাহিদ আলম।
পরে চালক ও হেলপারের দেয়া তথ্য মতে মিনি ট্রাকের এয়ারকুলারের ভিতর বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা উন্নতমানের পলি প্যাকেট ভর্তি ২ কেজি ওজনের ক্রিস্টাল মেথ জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত মাদককের আনুমানিক মূল্য ১০ কোটি টাকা। এসময় মাদক পরিবহনের দায়ে পুলিশ মিনি ট্রাকটিও জব্দ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকারিয়া রহমান জিকু আরো জানান, মো. আরিফুর রহমান নামের এক এনজিও কর্মকর্তা বদলিজনিত কারণে ওই মিনি ট্রাক ভাড়া করে টেকনাফ থেকে ঢাকায় আসবাবপত্র নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সুযোগে গাড়ির চালক ও হেলপার মিলে এসব ভয়ংকর মাদক ঢাকায় পাচার করছিল। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন, ওসি (তদন্ত) সুজন কুমার দে, উপ-পরিদর্শক শেখ মো. সাইফুল আলম ও উপ-পরিদর্শক জাকির হোসেন।