জাতীয় ক্রিকেট লিগে শেষ দিনে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। কিন্তু হাতে থাকা তিন উইকেট নিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। খুলনার পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে ১৪৫ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম। ফলে খুলনা ৫৮ রানের জয় নিয়ে ফেরে। যদিও খুলনার এই জয় কোনও কাজেই আসেনি। ইতোমধ্যে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করেছে সিলেট। ছয় ম্যাচে ২ জয় ও ৩ ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে খুলনা। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে চট্টগ্রাম। সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম আগের দিন ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১১৮ রান। ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনে বাংলাদেশের জিততে প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। কিন্তু এদিন আরও ২৭ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। খুলনার হয়ে আগের দিন উইকেট নেওয়া আল আমিন গতকাল নেন আরও একটি উইকেট। ৬৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন আলআমিন হোসেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিজ্ঞ পেসারের নবম ৫ উইকেট এটি। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা তিনটি ও মাসুম খান টুটুল দুটি উইকেট নিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ৫ ও দ্বিতীয়বার ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন খুলনার বাঁহাতি পেসার মেহেদি হাসান। এর আগে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের স্পিনার নাঈম হাসানের বোলিংয়ে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে খুলনা বিভাগ। ব্যাকফুটে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরান খুলনার পেসার মেহেদী হাসান রানা। তার দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম ২২০ রানে অলআউট হয়েছে। ১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ২১৯ রান সংগ্রহ করে। তাতেই ২০৩ রানের লক্ষ্য পায় চট্টগ্রাম।