এমইএস কলেজে ছাত্রদলের প্রচারে শিক্ষার্থীদের বাধা, হাতাহাতি

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৯ নভেম্বর, ২০২৪ at ৮:০১ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে ব্যানার টাঙাতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকটি পটকা ফাটানো হয়। পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী দুই দিনের জন্য কলেজের ক্লাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সূত্র এবং শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ৫ আগস্টের পর কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্র রাজনীতি পুরোপুরি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। কলেজ কর্তৃপক্ষও রাজনীতি নিষিদ্ধ রাখার এই সিদ্ধান্তে ঐক্যমত প্রকাশ করে। তবে গতকাল দুপুরে ছাত্রদলের একদল নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে ব্যানার টাঙিয়ে দলীয় কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ নেন। এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের বাধা দিলে দু্‌ইপক্ষের মাঝে হট্টগোল শুরু হয়। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময় ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে খুলশী থানা পুলিশ এবং কলেজের শিক্ষকেরা দুইপক্ষকে নিবৃত করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্যাম্পাসে কোনো দলের ছাত্র রাজনীতি তারা চলতে দেবেন না। এ ঘোষণা আগেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ছাত্রদল ব্যানার টাঙিয়ে কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিল। তাই শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছেন।

নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, তারা কলেজে কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থী এসে কর্মসূচির বিষয়ে জানতে চান। তারা ওই শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি সম্পর্কে সব তথ্য জানিয়েছেন। কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা হয়নি। তবে নেতাকর্মীরা কলেজ ক্যাম্পাসে পৌঁছানোর আগেই একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. রেজাউল করিম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, আজ একাদশ শ্রেণির সাময়িক পরীক্ষা ছিল। দুপুরে হঠাৎ কলেজ প্রাঙ্গণে ঝামেলা হয়েছে। পরে শিক্ষক ও পুলিশের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন। আগামী দুই দিন কলেজে কোনো ক্লাস হবে না, তবে পরীক্ষা চলবে বলেও তিনি জানান।

খুলশী থানা পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, ক্যাম্পাসে হট্টগোল হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅনেকের স্বাক্ষরে শ্রমিকও শিক্ষক হয়ে গেছে : মেয়র
পরবর্তী নিবন্ধহাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিতে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়